সদাহাস্যময় এক আশ্চর্য বুড়ো

ফাদার অফ ক্রিসমাস হলেন সান্টা ক্লজ। অফুরান আনন্দের প্রতীক। বড়দিনের আগের রাতে ঘুরে বেড়ান। চুপিচুপি উপহার দেন ছোটদের। তাঁকে নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। তাঁর বিচরণ শুধুই কল্পনায়? নাকি ছিল বাস্তব অস্তিত্ব? উৎস কী? নানা ক্ষেত্রের বিশিষ্ট মানুষদের জীবনেও রয়েছে উপস্থিতি। কে বা কারা তাঁদের জীবনের সান্টা ক্লজ, কথা বলে জেনে নিলেন অংশুমান চক্রবর্তী

Must read

সুসজ্জিত ক্রিসমাস ইভে
লাল রঙের কোট। মাথায় চোঙা আকৃতির টুপি। মুখভর্তি সাদা গোঁফ-দাড়ি। বড়দিনের আগেই জিঙ্গল বেলসের ঝোলা কাঁধে পৌঁছে যান ছোটদের মনের ঘরে। কল্পনার পাড়ায়। তাঁর অপেক্ষায় বছরভর চলে দিন গোনা। কারণ, আলোক-মালায় সুসজ্জিত ক্রিসমাস ইভে তিনি ঘুরে বেড়ান। চুপিচুপি উপহার দেন ছোটদের। রকমারি উপহার। কেক, চকোলেট, খেলনা ইত্যাদি। ভরে যায় সযত্নে সাজিয়ে রাখা মোজা। সারা বিশ্বেই সমাদৃত তিনি। সবার প্রিয় সান্টা ক্লজ। স্বপ্ন-দুনিয়া থেকে ভেসে আসা এক আশ্চর্য চরিত্র। শিশুদের মুখে হাসি ফোটাতে এই সদাহাস্যময় বুড়োর জুড়ি নেই। যুগ যুগ ধরে বড়দিনে এভাবেই তিনি ছোটদের আনন্দ বিলিয়ে দিতে হাজির হন। সাধারণের, বিশেষত শিশুদের মধ্যে তাঁকে নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। আজও মানুষের বিশ্বাস— প্রভু যিশুর জন্মদিনের আগের রাতে চুপিসারে এসে তিনি লাল ঝোলা থেকে উপহার রেখে যান। ধর্মের বেড়া সরিয়ে এই বিশ্বাস আঁকড়ে বাঁচতে ভালবাসে পৃথিবীর মানুষ। শুধুমাত্র খ্রিস্টানদের মধ্যেই নন, এইভাবেই সান্টা ক্লজ হয়ে উঠেছেন বিশ্বজনীন। চিরকালীন।

আরও পড়ুন-তৃণমূলের জয় ছিনিয়ে আনবেন কৃষক-মজদুর ভাইয়েরা: দোলা

বড়দিনের বড় আকর্ষণ
প্রশ্ন জাগে, পাশ্চাত্যের এই কিংবদন্তি চরিত্রের বিচরণ কি শুধুই কল্পনায়? নাকি ছিল বাস্তব অস্তিত্ব? উৎস কী? কথিত আছে অসংখ্য প্রবাদ। সান্টা ক্লজের বাড়ি নিয়েও রয়েছে নানা জনের নানা মত। তাঁকে কেউ বলেন ফাদার অফ ক্রিসমাস। কেউ বা বলেন ক্রিস কিঙ্গল। মোটকথা, বড়দিনের অন্যতম বড় আকর্ষণ তিনি। ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, আজ যাঁকে সান্টা ক্লজ নামে সারা বিশ্ব চেনে, তাঁর পিছনে রয়েছে দীর্ঘ কাহিনি। ঊনবিংশ শতাব্দীর তৃতীয় দশকে তাঁর ইতিহাসের সন্ধান মেলে। প্রবাদ অনুযায়ী ক্রিসমাস ইভ অর্থাৎ ২৪ ডিসেম্বর রাতে ছোট ছেলে-মেয়েদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে তিনি উপহার দিয়ে যান। ছোটবেলা ক্রিসমাসের আগের রাতে বালিশের পাশে কিংবা ক্রিসমাস ট্রি-তে সাদা মোজা ঝুলিয়ে রাখার ঘটনা প্রায় সকলের জীবনেই ঘটেছে। বড়দিনের সকালে পাওয়া গিয়েছে উপহারও। তবে কে কখন তা দিয়ে গিয়েছেন, এই ব্যাপারে কোথাও কোনও ব্যাখ্যা নেই।
অসহায় মানুষদের পাশে
বরফে ঢাকা চরম শীতের দেশ থেকে স্লেজগাড়ি চড়ে লোকালয়ে আসেন সান্টা ক্লজ। সেই গাড়ি টেনে নিয়ে আসে রেনডিয়াররা। অনেকেই বলেন সান্টা ক্লজ আসেন ফিনল্যান্ড থেকে। যদিও ফিনল্যান্ডের বাসিন্দাদের দাবি সান্টা ক্লজের আসল বাড়ি ল্যাপল্যান্ড প্রদেশের কোরভাটুনটুরি। সেখান থেকেই ছোটদের জন্য নানা রকমের উপহার নিয়ে তিনি হাজির হন।
অন্যদিকে ভেসে ওঠে সেন্ট নিকোলাসের নাম। যাঁর সঙ্গে তুলনা করা হয় সান্টা ক্লজের। নিকোলাস ছিলেন চতুর্থ শতকের একজন খ্রিস্টান সন্ত। সেই সময়ের অর্থাৎ মধ্যযুগে মাইরার একটি রোমান শহরের বিশপ। বর্তমানে সেই শহরই তুরস্ক। মনে করা হয়, খ্রিস্টীয় ২৮০ সালের দিকে এশিয়া মাইনর বা বর্তমান তুরস্কের পাতারা নামে অঞ্চলে তাঁর জন্ম। সততা ও দয়ার জন্য সকল মানুষ পছন্দ করত তাঁকে। শোনা যায়, বেশ ধনী ছিলেন। পাশে থাকতেন গরিব-দুঃখী ও অসহায়দের।

আরও পড়ুন-দক্ষ জনশক্তির অভাব ও ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব

রক্ষক হিসেবে পরিচিতি
শিশুদের প্রিয় মানুষ হয়ে উঠেছিলেন নিকোলাস। কথিত আছে, একবার তিনি দাস হিসেবে বিক্রি হতে যাওয়া তিন কন্যাকে রক্ষা করেছিলেন। পাশাপাশি ওই কন্যাদের বিয়েতে যৌতুক ও যাবতীয় খরচাপাতি করেছিলেন। তারপর থেকেই তাঁর জনপ্রিয়তা আকাশ ছোঁয়। মানুষের রক্ষক হিসেবে সর্বত্র পরিচিতি পান।
ফিনল্যান্ডের বাসিন্দাদের ধারণা, খ্রিস্টধর্ম প্রবর্তনের আগের পর্বে ফিনল্যান্ডে ইউলে নামে একটি উৎসব পালন করতেন ফিনিশরা। সেখানে লোমশ জ্যাকেট পরে মাথায় শিং লাগিয়ে সাজগোজ করতেন একদল মানুষ। এরপর তাঁরা দল বেঁধে বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে উপহার আর খাবার চাইতেন। পছন্দসই জিনিস না পেলে চিৎকার করে বাড়ির ছোটদের ভয় দেখাতেন।
এরপর সেন্ট নিকোলাস ফিনল্যান্ডে আসার পর এই উৎসব পালনের ভঙ্গিমা বদলে যায়। উপহার নেওয়ার পরিবর্তে এলাকার ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের বাড়ি গিয়ে উপহার দিয়ে আসার চল শুরু হয়। অনুমান করা হয়, এরপর থেকেই সান্টা ক্লজের ধারণার প্রবর্তন হয়েছে। উত্তর ফিনল্যান্ডের ল্যাপল্যান্ড প্রদেশে থাকা তাঁর বাড়ি বর্তমানে পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ।
আমেরিকান কার্টুনিস্টের আঁকা
রেনেসাঁ পর্যন্ত সেন্ট নিকোলাস জনপ্রিয় ছিলেন ইউরোপে। আমেরিকায় পরিচিতি পান আনুমানিক ১৮০০ শতকের শেষের দিকে। ১৭৭৩ এবং ১৭৭৪ সালে পরপর দু’বার একটি পত্রিকায় সামনে আসে এক ডাচ পরিবারের সেন্ট নিকোলাসের মৃত্যুবার্ষিকী উৎযাপনের খবর। সেন্ট নিকোলাসকে সংক্ষিপ্ত রূপ ‘সিন্টার ক্লাস’ নামে ওই ডাচ পরিবার ডাকতেন। পরবর্তী সময়ে সিন্টার ক্লাস থেকে মূলত সান্টা ক্লজ নামটির জন্ম হয় বলে মনে করা হয়। ১৮২০ সাল থেকেই বড়দিন উপলক্ষে বিভিন্ন দোকান বিজ্ঞাপন দিতে থাকে। অনেক সময়ই পত্রিকার বিশেষ সংখ্যা বের হত। যেগুলোয় প্রায়ই ছাপা হত সান্টা ক্লজের ছবি। ১৮৪১ সালে ফিলাডেলফিয়ার একটি দোকানে তৈরি করা হয়েছিল একটি সান্টা ক্লজ আকৃতির মানুষ। যা দেখতে ভিড় জমিয়েছিল হাজার হাজার শিশু। ১৮২২ সালে ক্লেমেন্টে ক্লার্ক মুর নামে একজন বড়দিন উপলক্ষে লিখেছিলেন একটি কবিতা। সেই কবিতায় যে ছবি ফুটে উঠেছিল, তার সারমর্ম হল লাল পোশাকে সাদা দাড়িওয়ালা এক সন্ত আটটি হরিণ টানা গাড়িতে উড়ে উড়ে শিশুদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে উপহার বিতরণ করছেন।
১৮৮১ সালে আমেরিকান কার্টুনিস্ট টমাস ন্যাস্টের আঁকা সান্টা ক্লজের ছবি পত্রিকায় প্রকাশিত হলে এই সাজ ব্যাপক খ্যাতি পায়। সেখানে সান্টা ক্লজের কাঁধে উপহারভর্তি ঝোলা নিয়ে ছোটদের উপহার দেওয়ার আনন্দঘন ছবি ফুটে ওঠে। ছবিটি গোটা বিশ্বেই জনপ্রিয়তা পায়। এরপর থেকেই তাঁর পরিচিতি ছড়িয়ে পড়ে।
সঙ্গে সঙ্গে থাকেন
ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া-সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সান্টা ক্লজের জন্য খাবার সাজিয়ে অপেক্ষা করেন। সান্টা ক্লজ তাঁর উপহারের ঝুলি থেকে মনের মতো জিনিস দিয়ে যাবেন বলেও বিশ্বাস করে বিভিন্ন দেশের নানা প্রজন্মের ছোটরা। এইভাবেই সান্টা ক্লজ আছেন প্রত্যেকের জীবনেই। শুধুমাত্র বছরের একটি দিনেই নয়, অন্যান্য দিনেও তিনি সঙ্গে সঙ্গে থাকেন। হয়তো অন্য রূপে। অন্য ভাবে। উজাড় করেন উপহারের ডালি, ভালবাসার ডালি। ভরসা জোগান, সাহস জোগান। তিনি যেন অফুরান আনন্দের প্রতীক।

আরও পড়ুন-৩ কোটি ৯৩ লক্ষে গড়ে উঠবে দমকল কেন্দ্র

আমার জীবনের সান্টা ক্লজ

দুই লাইনের কবিতা
সুবোধ সরকার
আমি চিরকাল স্বপ্ন দেখে এসেছি যে, একজন সাদা দাড়ি, সাদা চুল, লাল টুপি পরা একজন মানুষ এসে আমার সামনে দাঁড়াবে এবং আমাকে বলবে, চোখ বন্ধ করো, হাত খোলো। আমি হাত খুলে দেব। আর হাতের ভেতর সে একটা কিছু রাখবে। যেই আমি হাত খুলব, সে সামনে থেকে উধাও হয়ে যাবে। আর খুলে দেখব একটা ছোট্ট চিরকুটে দুই লাইনের একটা কবিতা লেখা আছে। এই দুই লাইন কবিতার জন্য আমি পঞ্চাশ বছর বসে আছি। আমার ধারণা, এই সান্টা ক্লজ আমাকে দিয়ে পঞ্চাশটা কবিতার বই লিখিয়ে নিয়েছে। কিন্তু ওই দুই লাইন আমি এখনও লিখতে পারিনি। ওই দুটো লাইনের জন্য অপেক্ষা করছি। অপেক্ষা করছি, অপেক্ষা করছি। আমি জানি সান্টা ক্লজ আছে। এবং সে আবার একদিন আমার সামনে এসে দাঁড়াবে। আমাকে বলবে, চোখ বন্ধ করো। হাতের মুঠোটা খোলো। তারপর আমি চোখ খুলে যেই হাতের মুঠোটা খুলব, দেখব, সে উধাও হয়ে গেছে। এই হল আমার সান্টা ক্লজ।

ভরিয়ে দিয়েছেন ভালবাসায়
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়
প্রায় ৪০ বছর ধরে অভিনয় করছি। আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, আমার জীবনের সান্টা ক্লজ হলেন আমার দর্শকরা। শুরু থেকেই তাঁরা আমাকে উৎসাহ দিয়েছেন, অফুরান ভালবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন। তাঁদের জন্যেই আজ আমি এই জায়গায় পৌঁছতে পেরেছি। জীবনে এর থেকে বড় প্রাপ্তি আর কিছু হতে পারে না।

অনেক আনন্দ
অলোকানন্দা রায়
আমার জীবনের বড় সান্টা ক্লজ হলেন রবীন্দ্রনাথ। তিনি আমার অদৃশ্য দাদু। না চাইতেই আমাকে অনেক কিছু দিয়েছেন। শ্রীঅরবিন্দ-মাদারও আমার জীবনের সান্টা ক্লজ। জেলের ভিতরের ছেলেমেয়েরাও আমার সান্টা ক্লজ। ছোট ছোট সান্টা ক্লজ। এরাও আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। অনেক ভালবাসা, অনেক খুশি, অনেক আনন্দ।

আরও পড়ুন-রেলে বিহার থেকে বর্ধমানে পৌঁছল বিজেপি নেতার নামে ৫৫টি বাইক

স্বপ্নপূরণে বড় ভূমিকা
মনোময় ভট্টাচার্য
আমার জীবনের সান্টা ক্লজ আমার বাবা ধ্রুবদাস ভট্টাচার্য। কারণ, সঙ্গীত জীবনের যে স্বপ্ন আমি দেখেছিলাম, সেই স্বপ্নপূরণের জন্য বাবা সবথেকে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন। আমার সঙ্গীতের বিভিন্ন দিক, বিভিন্ন গুরুর কাছে শিক্ষা ইত্যাদি সুযোগ তিনি না চাইতেই আমাকে করে দিয়েছিলেন। তার সুফল এখন আমি ভোগ করছি। অন্য ক্ষেত্রে না গিয়ে সঙ্গীত নিয়েই যে থাকতে পেরেছি, সেটা সম্ভব হয়েছে বাবার জন্য। সেই কারণেই তিনি আমার জীবনের সান্টা ক্লজ। বাবা আজ নেই। তাঁর অভাব প্রতি মুহূর্তে অনুভব করি।

মরশুমি মানুষ
শুভমিতা বন্দ্যোপাধ্যায়
সান্টা ক্লজ একটা জীবন বোধের, একটা অনুভূতির নাম। ভীষণ আনন্দের। অনেকেই আমার জীবনের সান্টা ক্লজ। প্রথম সান্টা ক্লজ আমার মধ্যে যে আমি আছে, সেটা। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে যাকে দেখতে পাই। দেখতে পাই, সে মুচকি হেসে আমাকে বলছে যে, জীবনটা আসলে খুব আনন্দময়। জীবনটা খুব সহজ-সরল। আমরা অকারণে জটিল করি। জটিল করার কোনও কারণ নেই। সান্টা ক্লজ একজন মরশুমি মানুষ। নির্দিষ্ট দিনে আসেন। হইহই করেন। আনন্দ দেন। চলে যান। আনন্দের মতোই দুঃখটাও চিরস্থায়ী নয়। সবকিছুই একটা আবর্তনের মধ্যে ঘোরে। ফিরে ফিরে আসে। সুতরাং আনন্দে অতিরিক্ত বিহ্বল হয়ে পড়া উচিত নয়, দুঃখেও কাতর হওয়া উচিত নয়। আনন্দ-দুঃখ নিয়েই জীবন। জীবন যেমন আসে তেমন গ্রহণ করো। এটা একটা বোধের নাম। ভালবাসতে শেখায়। সেটার মধ্যে যে আনন্দ আছে, সেই বোধটাই আমার কাছে সান্টা ক্লজ। অগণিত মানুষ, যাঁরা প্রথম দিন থেকে আমার গানকে নিঃস্বার্থভাবে ভালবেসেছেন, আনন্দ দিয়েছেন, তাঁরাও আমার জীবনের সান্টা ক্লজ। এঁদের শুভেচ্ছায়, ভালবাসায় এতটা পথ আসতে পেরেছি। আমি একজন শিল্পকর্মী। তেমন শিল্পী হতে পারিনি। শিল্প নিয়ে কাজকর্ম করার চেষ্টা করি। তার আগে আমি একজন মানুষ। আমার বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন, কাছের মানুষেরা, যাঁরা সুখে-দুঃখে, পাপে-পুণ্যে আমাকে জড়িয়ে থাকেন, তাঁরাও আমার কাছে সান্টা ক্লজ। সুতরাং এই সবকিছু নিয়েই আমার সান্টা ক্লজরা ছড়িয়ে রয়েছেন। কাছে-দূরে, দেশে-বিদেশে। অনুষ্ঠান করতে গিয়ে কত মানুষের সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক হয়ে যায়। কোনও স্বার্থ নেই। যাঁরা আমাকে স্বার্থহীন ভালবাসা দিয়ে ঘিরে রেখেছেন, তাঁরাও আমার সান্টা ক্লজ।

Latest article