রবিবারে রাতে গুয়াহাটি (Guwahati) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক তরুণীর মৃতদেহ হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন এক যুবক। কিন্তু তার আগেই তাঁকে ধরে ফেলে হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীরা। ইমরান আলি নামের ওই যুবককে আপাতত জিজ্ঞাসাবাদ করছে গুয়াহাটি ভাঙাগড় থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, রবিবার রাতে একটি গাড়িতে করে ওই তরুণীর দেহ নিয়ে আসেন ইমরান। কিন্তু দেখা যায় হাসপাতালে সবার আড়ালে তরুণীর দেহ ফেলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি।
আরও পড়ুন-বিধানসভায় হাজিরার ‘মার্কশিট’, প্রকাশ্যে আসছে রিপোর্ট
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই তরুণীর মুখে গ্যাজলা উঠে গিয়েছিল। সেটা দেখেই তদন্তকারীদের প্রাথমিকভাবে মনে করেন ওই তরুণীকে বিষ খাইয়ে খুন করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান ওই যুবক তরুণীর দেহটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে রাখা ট্রলিতে ফেলে বাইরের দিকে যাওয়ার রাস্তায় দ্রুত গতিতে চলে যান। তার গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হওয়ার ফলেই নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে ধরার জন্য দৌড়ে যান। হাসপাতালের গেটের কাছে তাঁকে ধরা হয়।
আরও পড়ুন-স্ত্রীর গায়ের রং নিয়ে অসন্তোষ, পুড়িয়ে মারার অভিযোগে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
ভাঙাগড় থানার তরফে খবর কী কারণে ওই তরুণীর মৃত্যু হয়েছে সেটা ময়নাতদন্তের পরেই জানা যাবে। তাঁর পরিচয় জানারও চেষ্টা করছে পুলিশ। ইমরানকে জেরা করা হচ্ছে। তরুণীর সঙ্গে ইমরানের কী সম্পর্ক সেটাও জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে এর পিছনে কী রহস্য আছে সেটাও দেখা হচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে কীভাবে একজন যুবক এভাবে একজনকে হত্যা করে হাসপাতালে এনে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে পারে?