আধারের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুললো আন্তর্জাতিক রেটিং সংস্থা মুডিজ ইনভেস্টরস সার্ভিস (Moody’s Investors Service)। মুডিজের দাবি, অনেক সময় আধারের কাঙ্খিত মাধ্যমে পরিষেবা পাওয়া যায় না এবং বায়োমেট্রিক তথ্যও সবসময় নির্ভরযোগ্য হয় না। এছাড়া তথ্য ফাঁস হওয়ারও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে মুডিজ। সম্প্রতি মনরেগার কাজে আধারের মাধ্যমে মজুরি মেটানোর নির্দেশিকা জারি করেছে মোদি সরকার। এই অবস্থায় মুডিজের রিপোর্ট উদ্বেগজনক বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
মুডিজের (Moody’s Investors Service) দাবি, “অনেক সময় আধারে যাচাইয়ের সমস্যা হয় এবং বায়োমেট্রিক তথ্যের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।” মুডিজ জানিয়েছে, “আধার পরিচালনা করে ইউআইডিএআই। দেশের প্রান্তিক সমাজের মানুষদের একত্রিত করা এবং তাঁদের জন্য বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পের পরিষেবা প্রদান করা হয়। অনেক সময় সেই পরিষেবা প্রত্যাখান হয়ে যায় আধারে সমস্যার কারণে।” গত ২৩ সেপ্টেম্বর প্রকাশ করা রিপোর্টে মুডিজ আধারকে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ডিজিটাল পরিচয়পত্র হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তবে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, আধারে তথ্যের গোপনীয়তা এবং সুরক্ষার বিষয়টি বিশ্লেষণ করে দেখেছে তারা। মুডিজের দাবি, যেহেতু আধারে মানুষের অনেক স্পর্শকাতর এবং ব্যক্তিগত তথ্য থাকে, ফলে সেখানে তথ্য ফাঁস হওয়ার সম্ভবনা বেশি। তাদের প্রস্তাব শুধুমাত্র ইউআইডিএআইয়র ওপর ক্ষমতা না দিয়ে আধারের কর্তৃত্ব বিকেন্দ্রীকরণ করা হলে, ব্যক্তিগত তথ্যের নিয়ন্ত্রণ এবং সুরক্ষা আরও আঁটোসাঁটো হবে।
আরও পড়ুন- ডেঙ্গু রোধে অভিযান, পরিত্যক্ত কারখানায় লার্ভা নিধনে ড্রোন ওড়াল পুরসভা
মুডিজের রিপোর্ট তুলে ধরে কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারিও সমালোচনা করেন কেন্দ্রীয় সরকারের। এদিকে সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে, এবার থেকে আধার নম্বর ছাড়াই রেজিস্ট্রেশন করা যাবে ভোটার কার্ড। বর্তমানে ভোটার রেজিস্ট্রেশনের ফর্ম ৬ এবং ৬বি-তে আধার নম্বরের তথ্য দিতে হয়। এই নিয়মে বদল এনে নতুন ফর্ম তৈরি করা হচ্ছে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে কমিশনের তরফে এ কথা জানানো হয়। ভোটার হিসেবে নাম নিবন্ধন করতে গিয়ে আধার তথ্য ফাঁস হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে তেলঙ্গানা প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সহ-সভাপতি জি নিরঞ্জন। তারই ভিত্তিতে কমিশনের পক্ষ থেকে এই কথা জানানো হয়।