নয়াদিল্লি : এমসিডি (MCD) মানে হল মারপিট, চপ্পল, দঙ্গল! দিল্লি পুরসভার নজিরবিহীন কাণ্ডকারখানার দিকে ইঙ্গিত করে সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন এটাই ট্রেন্ড। রাজধানীর মেয়র নির্বাচন এবং তার পরবর্তী স্থায়ী কমিটির সদস্য নির্বাচন ঘিরে আপ-বিজেপি (AAP vs BJP poster war) দ্বৈরথ যে পর্যায়ে পৌঁছেছে তা হার মানিয়েছে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নির্বাচনকেও। নাগরিক পরিষেবা ছেড়ে দিল্লি পুরসভার কাউন্সিলররা ব্যস্ত নিজেদের মধ্যে রাতভর হাতাহাতি, তাণ্ডব, হুমকি, চুলোচুলিতে। দিল্লি পুরসভার মেয়র নির্বাচনের পরেও মিটছে না বিতর্ক। ইতিমধ্যেই দিল্লির প্রথম মহিলা মেয়র তথা আপ নেত্রী শেলি ওবেরয় (Shelly Oberoi) বিজেপির বিরুদ্ধে হেনস্তা ও প্রাণনাশের অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। অন্যদিকে দুই বিজেপি কাউন্সিলর পুরসভার স্থায়ী সমিতির নির্বাচনে ভোট বাতিলের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাতে হাইকোর্ট সদস্য নির্বাচন প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে। আর এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে রাজধানীর পুরসভায় পরস্পরের বিরুদ্ধে কুৎসিত পোস্টারযুদ্ধ শুরু করেছে আপ ও বিজেপি।
আরও পড়ুন: পুলওয়ামায় ফের জঙ্গিরা খুন করল কাশ্মীরি পণ্ডিতকে
দু’দলের (AAP vs BJP poster war) কাউন্সিলররাই অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগে পরস্পরকে বিদ্ধ করেছেন। পোস্টারযুদ্ধের জন্য মূলত সামাজিক মাধ্যমকেই বেছে নিয়েছে দুই পক্ষ। এক্ষেত্রে, বিজেপির আক্রমণের কেন্দ্রে নবনির্বাচিত মহিলা মেয়র। ‘অরবিন্দ কেজরিওয়ালের খলনায়িকা’ নামের পোস্টার বানিয়ে সেখানে মেয়র শেলি ওবেরয়, অতিশি, দুর্গেশ পাঠকের ছবি দিয়ে অভিযোগ আনা হয়েছে। অন্যদিকে আপ পাল্টা আক্রমণ করেছে ‘ব্যালট চোর মাচায়ে শোর’ নামের পোস্টারে। আপের পোস্টারে গৌতম গম্ভীর, মনোজ তিওয়ারিদের মতো একাধিক বিজেপি নেতার মুখ বসিয়ে কড়া তোপ দাগা হয়েছে। সব মিলিয়ে দিল্লি পুরসভাকে ঘিরে আপ-বিজেপি দ্বন্দ্ব রোজই নতুন মোড় নিচ্ছে। রাজনৈতিক বিবাদের আঁচে প্রভাব পড়ছে নাগরিক পরিষেবায়। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, আপের কাছে এমসিডি ভোটে হারের ধাক্কা মেনে নিতে না পেরে নানা অপকৌশলে বিজেপি পুরসভাকে ঘিরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।