এবিজি শিপইয়ার্ড: তিন কর্তার বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস

Must read

প্রতিবেদন : বিজয় মালিয়া, নীরব মোদি, মেহুল চোকসি এভাবে একের পর এক ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে ঋণখেলাপি হিসেবে। এই তালিকা ক্রমশই দীর্ঘতর হচ্ছে। যার সর্বশেষ সংযোজন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্যের সংস্থা এবিজি শিপইয়ার্ড। এই সংস্থা ২৩ হাজার কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ করেনি বলে অভিযোগ। যা দেশের এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় ব্যাংক প্রতারণা বলে জানিয়েছে খোদ সিবিআই।

আরও পড়ুন – সরব বিরোধীরা

ঋণখেলাপি এই সংস্থার শীর্ষকর্তারা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারেন তার জন্য এবার লুকআউট নোটিস জারি করল সিবিআই (CBI) । বিজয় মালিয়া, নীরব মোদি ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ না করেই দেশ ছেড়েছেন। তাই এবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে প্রশাসন। এবিজি শিপইয়ার্ডের কর্তারা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে তার জন্য সিবিআই জারি করল লুক আউট নোটিস।

সিবিআইয়ের (CBI) পক্ষ থেকে দেশের প্রতিটি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে এবিজি শিপইয়ার্ডের তিন কর্তার নাম ও ছবি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা তার সতর্কবার্তায় জানিয়েছে, সন্থানম মুথুস্বামী, অশ্বিনী কুমার ও ঋষি আগরওয়াল এবিজি শিপইয়ার্ডের এই তিন কর্তা যেন কোনওভাবেই দেশ ছেড়ে পালাতে না পারেন। উল্লেখ্য, এবিজি শিপইয়ার্ড স্টেট ব্যাংক-সহ দেশের ২৮টি ব্যাঙ্ক থেকে প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ করেনি। এমনকী যে উদ্দেশ্যে ওই বিপুল পরিমাণ টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছিল সেই খাতেও অর্থ খরচ করা হয়নি। বরং ওই টাকা বিভিন্ন সহযোগী সংস্থার নামে স্থানান্তর করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সংস্থাটি জাহাজ তৈরি ও মেরামতের কাজ করে থাকে। গুজরাতের দাহেজ ও সুরাতে তাদের দুটি কারখানা আছে। সিবিআই জানিয়েছে, ২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে ২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত একাধিক ব্যাংক এই সংস্থাকে জাল বলে ঘোষণা করেছে।

Latest article