বিচারপতি থেকে সাংসদ হয়েই আইন ভাঙা শুরু অভিজিতের : কল্যাণ

শুধু তাই নয়, বেপরোয়া গতির প্রতিবাদ করায় রাজ্যের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে অকথ্য ভাষায় কটূক্তিও করেন তমলুকের বিজেপি সাংসদ।

Must read

প্রতিবেদন : এজলাস থেকে সোজা সংসদ। বিচারপতি থেকে এখন সাংসদ। আর সাংসদ হয়েই আইন ভাঙা শুরু। শুক্রবার রাতে এমনই গুরুতর অভিযোগ উঠেছে প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। সাংসদ হয়ে নিয়ম বিরুদ্ধভাবে গাড়িতে লাল-নীল আলো লাগিয়ে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি ছোটানো, হুটার বাজানো; একরাতে সব অভিযোগই অভিজিতের বিরুদ্ধে রয়েছে। শুধু তাই নয়, বেপরোয়া গতির প্রতিবাদ করায় রাজ্যের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে অকথ্য ভাষায় কটূক্তিও করেন তমলুকের বিজেপি সাংসদ। প্রাক্তন বিচাপতির আইন ভাঙা নিয়ে তৃণমূল সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, গাড়িতে লাল-নীল আলো লাগাতে পারেন না কোনও সাংসদ। তমলুকের বিজেপি সাংসদকে কটাক্ষ করে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, উনি যে ‘প্রাক্তন’ বিচারপতি, সেটা ভুলে গিয়েছেন। বিচারপতি হিসেবে অভিজিতের বেয়াদপি সহ্য করলেও সাংসদ হিসেবে তাঁর এই অসভ্যতা মানুষ সহ্য করবে না।

আরও পড়ুন-এটাই বাংলার কৃষ্টি-সংস্কৃতি, মোদির বঞ্চনা সত্ত্বেও দৃষ্টান্ত মুখ্যমন্ত্রীর, ২০ বিজেপি পরিবারকেও বাংলার বাড়ি

শনিবার এ-প্রসঙ্গে আইনজীবী-সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আইন ভেঙেছেন বিজেপি সাংসদ! গাড়িতে এ-ধরনের লাল-নীল আলো লাগাতে পারেন না কোনও সাংসদ। এমনকী, সাংসদের গাড়িতে লাল আলোই লাগানো যায় না। সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ আছে। তাছাড়া সাংসদের গাড়িতে হুটার বাজানোরও নিয়ম নেই। শুধুমাত্র রাষ্ট্রপতি, উপ-রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর গাড়িতেই হুটার থাকার নিয়ম রয়েছে। কল্যাণ আরও বলেন, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কী ধরনের অশ্রাব্য-অশালীন ভাষা ব্যবহার করতে পারেন, তা নিয়ে আমার সম্যক ধারণা আছে। একাধিকবার সংসদে সেই নমুনা দেখেছি। যখন বিচারপতি ছিলেন, তখন এজলাসে বসেও রাজনৈতিক নেতার মতো মন্তব্য করতেন অভিজিৎ। তাঁর কুকথায় অতিষ্ঠ ও অসন্তুষ্ট হন বর্ষীয়ান আইনজীবীরাও।

আরও পড়ুন-চারমাসেও অপরাজিতা বিলে অনুমোদন নেই, প্রতিবাদে রাজপথে মহিলা তৃণমূল

এই প্রসঙ্গে প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ জানান, বিজেপি সাংসদ যে-ভাষায় কথা বলেছেন তা কোনওমতেই গ্রহণযোগ্য নয়। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মনে রাখা উচিত, তিনি এখন প্রাক্তন বিচারপতি। সুতরাং, তাঁর এই অকথা-কুকথা সবাই হজম করবে না। শুক্রবার রাত প্রায় সাড়ে দশটা নাগাদ দ্বিতীয় হুগলি সেতু দিয়ে প্রচণ্ড গতিতে গাড়ি নিয়ে কলকাতা থেকে হাওড়ার দিকে যাচ্ছিলেন তমলুকের বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এমনকী একটি স্কুটারে ধাক্কা লাগারও উপক্রম হয়। একইসময় সেখান দিয়ে যাচ্ছিলেন মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। সাংসদের গাড়ির বেলাগাম গতির তীব্র প্রতিবাদ করেন বাবুল। অভিযোগ, বাবুলের আপত্তি শুনেই তাঁকে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেন বিজেপি সাংসদ

Latest article