সাগরদিঘিতে কংগ্রেসের জয় নিয়ে বিজেপি-হাত শিবিরকে খোঁচা অভিষেকের

Must read

মুর্শিদাবাদের রানিনগরে জনসভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন কংগ্রেস এবং বিজেপিকে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) জানালেন, সাগরদিঘিতে বিধানসভা উপনির্বাচনে কংগ্রেসের জয়ে হাত শক্ত হয়েছে বিজেপির।

শনিবার অভিষেক (Abhishek Banerjee) বলেন, বাংলায় ২০২১-র বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পরে পেট্রোপণ্যের দাম কমাতে বাধ্য হয়েছিল কেন্দ্র। কংগ্রেসের থেকে কোনও ভয় নেই বলেই সাগরদিঘিতে তাদের জয়ের পর পেট্রোলের দাম কমায়নি মোদি সরকার। বাইরন বিশ্বাসের জয়ে আদতে BJP-ই অক্সিজেন পেয়েছে বলে মন্তব্য করেন অভিষেক। তাঁর কথায়, সাংসদ অধীর চৌধুরীর নামে কখনও কিছু বলেন না মোদি-শাহরা। বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদও গত পাঁচ বছরে কখনও বাংলার সমস্যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখেননি। কারণ, কংগ্রেস-বিজেপির গোপন ‘বোঝাপড়া’ রয়েছে। তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘‘একটা দৃষ্টান্ত দেখান, কংগ্রেসের কেউ বলেছেন, বাংলার বকেয়া ফিরিয়ে দাও! আমি পরের দিন থেকে মুর্শিদাবাদে পা রাখব না।’’ জনসংযোগ যাত্রা এবং পঞ্চায়েত ভোটের পর তিনি বাংলার মানুষের দাবিদাওয়া নিয়ে দিল্লি যাবেন বলেও জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: বর্ষার আগেই মশাবাহিত রোগ মোকাবিলায় কড়া পদক্ষেপ রাজ্যের

একই সঙ্গে CPIM-কেও কাঠগড়ায় তোলেন অভিষেক। বলেন, ‘‘বিমান বসু, মহম্মদ সেলিম কোনও দিন অমিত শাহ, শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে বলছেন, দেখবেন না। কাকে আক্রমণ করছেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। অন্য দিকে দেখবেন না যে, বিজেপি সাংবাদিক বৈঠক করে অধীর চৌধুরীকে আক্রমণ করেছে।’’ এরপরেই বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে অভিষেক বলেন, ‘‘আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু তৃণমূল। কারণ তৃণমূলকে এরা ধমকে-চমকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। বিজেপি ভাইরাস হলে ভ্যাকসিন তৃণমূল।’’

অভিষেকের দাবি, ‘‘সাগরদিঘিতে বাইরন জেতার পর বিজেপির হাত শক্তিশালী হয়েছে। কংগ্রেস হেরে তৃণমূল জিতলে এদের খুঁজে পাওয়া যেত না। রামনবমীর নামে, ধর্মের চারিদিকে এনআরসি পরিবেশ তৈরি করছে। মানুষ যাঁকে ভোট দিচ্ছেন, দেবেন। কিন্তু যত দিন বাংলায় মা-মাটি-মানুষের সরকার রয়েছে, এনআরসির এন-ও হতে দেব না। বুক ঠুকে বলে যাচ্ছি। এনআরসির প্রশ্নই ওঠে না। আমরা বৈচিত্রের মধ্যে একতার মন্ত্রে বিশ্বাসী।

Latest article