দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনের মুঘল গার্ডেনের নাম বদল করে নতুন নাম দেওয়া হল অমৃত উদ্যান। এই প্রসঙ্গে ফের কেন্দ্রকে একহাত নিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Mughal Garden- Abhishek Banerjee)। শনিবারই কেন্দ্রের তরফে এই নতুন নাম ঘোষণা করা হয়েছে। অভিষেক জানালেন, মানুষের মূল সমস্যাগুলি থেকে নজর ঘোরাতে কেন্দ্রের এই নাম বদল নীতি।
শনিবার ডায়মন্ড হারবারে প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠক সেরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই রাষ্ট্রপতি ভবনের ফুলের বাগানের নাম পরিবর্তন ইস্যুতে প্রশ্ন উঠলে অভিষেক (Mughal Garden- Abhishek Banerjee) বলেন, “প্রচলিত প্রথার মতো দীর্ঘদিন ধরে হচ্ছে এই নাম বদল। ওরা বাংলায় এলেও এটা হত। মেদিনীপুর থাকত না মোদিনীপুর হয়ে যেত। আসলে তুমি যখন মানুষের জন্য কিছু করবে না, মানুষের মূল সমস্যা সমাধানের বিষয়টি এড়িয়ে যাবে, তখন মূল জায়গা থেকে মানুষের নজর ঘোরাতে এই ধরনের নাম পরিবর্তন করা হবে। এতে মানুষের কোনও উপকার হবে না। যা করছে ওদের করতে দিন।”
উল্লেখ্য, স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে অমৃত মহোৎসব কর্মসূচি গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই মুঘল গার্ডেনের নাম রাখা হল অমৃত উদ্যান। এপ্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি নভিকা গুপ্ত জানান, রাষ্ট্রপতি ভবনের অন্দরের সবকটি উদ্যান মিলিয়ে একটি নাম রাখা হয়েছে তা হল ‘অমৃত উদ্যান’। রাষ্ট্রপতি নিজেই এই নামকরণ করেছেন। আগামী ২৯ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এই অমৃত উদ্যানের উদ্বোধন করবেন। এর পর ৩১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত দু’ মাস রাষ্ট্রপতি ভবনের এই বাগানগুলি দর্শকদের জন্য খোলা থাকবে। তবে মোদি সরকারের জমানায় নাম বদল অবশ্য নতুন কিছু নয়। এর আগে মোঘলসরাই জংশনের মতোই ইলাহাবাদ, ফৈজাবাদ স্টেশনগুলির নামও বদলে যথাক্রমে প্রয়াগরাজ এবং অযোধ্যা ক্যান্টনমেন্ট রাখা হয়। এবার রাষ্ট্রপতি ভবনের অন্দরে মুসলিম ছোঁয়া থাকা নাম পরিবর্তনে খুব বেশি সময় নিল না কেন্দ্র।