কাঁথির ঐতিহাসিক সভা থেকে এবার শুভেন্দু অধিকারীকে “রাহুল গান্ধি” কটাক্ষ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এদিন শুভেন্দুর পাড়ায় দাঁড়িয়ে লম্বা ভাষণে অভিষেক যখন একে একে অধিকারীদের মুখোশ খুলছেন, ঠিক তখনই তার বক্তৃতার একটি অংশে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বিরোধী দলনে থাকে একটি বিশেষ উদাহরণ টানতে গিয়ে রাহুল গান্ধির সঙ্গে তুলনা করেন। বলা ভালো রাহুলের তুলনা টেনে কটাক্ষ করেন।
তৃণমূল ছাড়ার পর থেকেই শুভেন্দু অধিকারীর মুখে পূর্ব মেদিনীপুরের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নাম এবং তাম্রলিপ্ত সরকারের কথা শোনা যায়৷ এবং কিছুক্ষেত্রে তিনি সেই স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সঙ্গে নিজের তুলনা টানেন। স্বাধীনতা সংগ্রামীর বংশধর বলে বড়াই করেন।
এদিন কাঁথি কলেজ মাঠে জনসভা করতে গিয়ে শহিদ ক্ষুদিরাম বসুর জন্মদিনে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান অভিষেক।
তাঁর মুখেও পূর্ব মেদিনীপুরের বীর সন্তান সতীশ সামন্ত, বীরেন্দ্র শাসমল, অজয় মুখোপাধ্যায়, মাতঙ্গিনী হাজরা, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের নাম উচ্চারণ হয়। দেশ ও সমাজের জন্য তাঁদের অবদান স্মরণ করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
আরও পড়ুন- নন্দীগ্রামে ফের ভোট হবে, শুভেন্দুর পাড়ায় দাবি অভিষেকের
অন্যদিকে, সেই মেদিনীপুরের মাটিতে শুভেন্দু অধিকারীর মতো কুলাঙ্গার, বিশ্বাসঘাতক, গদ্দার, বেইমান জন্মেছেন যিনি মেদিনীপুরের কলঙ্ক বলে কটাক্ষ করেন অভিষেক৷ তাঁর কথায়, “খালি বলে বেলায় আমি বিপিন অধিকারীর বংশধর৷ সে তো ঠিকই৷ কিন্তু তাই বলে কি মহাত্মা গান্ধি আর রাহুল গান্ধি এক হল? বিপিন অধিকারী বেঁচে থাকলে এখন আপনাকে দেখলে চোখের জল ফেলতেন৷”
এরপরই শুভেন্দুকে খোঁচা মেরে অভিষেকের সংযোজন, “এখন আর ওনার মুখে সতীশ সামন্ত, ক্ষুদিরাম বসু, মাতঙ্গিনী হাজরাদের নাম শুনতে পারবেন না৷ এখন শুনবেন মোদিজি, যোগিজি, অমিতজি, হিমন্ত বিশ্বশর্মাজি৷ উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে বলছেন জি, আর নিজের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন মমতা, বেগম, বুড়ি৷ এটা মেদিনীপুরের সংস্কৃতি?” প্রশ্ন তোলেন অভিষেক।