শনিবার, ডায়মন্ড হারবারে প্রশাসনিক বৈঠক শেষে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandyopadhyay) খুনি-ধর্ষকদের ৭ দিনের মধ্যে এনকাউন্টার বা ফাঁসি দেওয়ার আইন আনার দাবি জানান। দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ছাড়াও অভিষেক স্পষ্ট জানান, “এমন মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার নেই।“ এই বিষয়ে আইনসভায় আইন আনুক বিজেপি। তৃণমূল সমর্থন করবে।”
আরও পড়ুন-চন্দননগরে নয়া পিস হাভেন
এই বিষয়ে আইন সংশোধনের দাবি তোলেন অভিষেক। বলেন, “এমন মানুষের কি বেঁচে থাকার কোনও অধিকার আছে? এখন মামলা রুজু হয়েছে, কেস চলবে। কিন্তু বিজেপি সরকারের উচিত এমন অপরাধ রুখতে আইন সংশোধন করা। স্পিডি ট্রায়াল করে যত দ্রুত সম্ভব দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি আমরা চাই।“ তৃণমূলের সাংসদ স্পষ্ট জানান, এই নিয়ে রাজনীতি না করে বিজেপির উচিত অর্ডিন্যান্স করে আইন সংশোধন করা উচিত। সেই বিল তৃণমূল, কংগ্রেস, সিপিএম-সহ বাকিদের সমর্থন করা উচিত। এমন আইন করা উচিত যাতে তথ্য-প্রমাণ থাকলে ৭ দিনের মধ্যে ধর্ষক-খুনিকে এনকাউন্টার বা ফাঁসি দেওয়া যায়।
আরও পড়ুন-দক্ষিণে দুর্যোগের আশঙ্কা
অভিষেক বলেন, আরজি করের ঘটনা নারকীয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য সরকারের অবস্থান জানিয়েছেন। কিন্তু অভিষেকের মতে, ”আমাদের দেশের আইন হাত বেঁধে রাখে। এই সব লোকেদের সমাজে থাকার অধিকার নেই। যে এই নারকীয় ঘটনা ঘটিয়েছে, সে সিভিক ভলেন্টিয়র! ধর্ষকের কোনও জাত হয় না। যে ধর্ষক-খুনি তার সমাজে থাকার অধিকার নেই। চার দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
আরও পড়ুন-বাজেটে মিথ্যাচার, তোপ দাগলেন অমিত মিত্র
মৃতার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তৃণমূল সাংসদ বলেন, ”একজন মায়ের কোল খালি হল। বাবা তাঁর কন্যা হারল। কোনও ঘটনা না ঘটলে আমাদের ঘুম ভাঙে না! কেন রাত দশটার পরে হাসপাতালে বহিরাগত ঢুকবে? একাধিক রাজ্যেই এমন ঘটনা ঘটে। হাথরাসের কথা সকলের মনে আছে। সেখানে তো মৃতদেহের খোঁজ মেলেনি। এই ঘটনা এখন যদি উত্তরপ্রদেশে হত তাহলে দেহ মিলত না। বিলকিস বানোর ঘটনাতেও সুপ্রিম কোর্টকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল। উন্নাও, হাথরাস, নির্ভয়া সমষ্টিগত ব্যর্থতা। রাজনীতি না করে আমাদের সকলের একজোট হয়ে এর বিরোধিতা করা উচিত। এত সবের পরেও এই ঘটনা থামছে না। কারণ, আইন ও মানুষের মানসিকতার পরবর্তন প্রয়োজন।”