আজ জন্মদিনে (Birthday) জনসংযোগে মাঠে নামলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। চোখের অস্ত্রোপচার সেরে পরিবারের সঙ্গে কালীপুজোয় যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তবে এই প্রথম ফের রাস্তায় নেমে জনসংযোগে যোগ দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-একবারই নেওয়া যাবে রেজিস্ট্রেশন ফিজ জানাল রাজ্যের স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন
সকাল থেকেই শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন শুভাকাঙ্খীরা। দুপুরে কালীঘাটের বাড়ির বাইরে সমর্থক ও দলীয় নেতা কর্মীদের ভিড় উপচে পড়ছিল। শুধু তাই নয়, সেখানে উপস্থিত ছিলেন একাধিক নেতা, বিধায়ক, সাংসদ। ‘লড়াই করে বাঁচতে চাই’ লেখা কেক কেটে দলীয় নেতা-কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কিছুটা সময় কাটালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অভিনন্দন হাসিনার, সুদিনের আশায় আওয়ামী লিগ!
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার কঙ্কালীতলা মন্দিরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিন উপলক্ষে ছবি নিয়ে পুজো দেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ ৷ পরে মন্দির চত্বরে ১১টি কেক কাটা হয়৷ এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন নানুরের বিধায়ক বিধান মাঝি-সহ অন্যান্য নেতৃত্ব ও অন্যান্য কর্মীরা ৷ অন্যদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর জন্মদিন উপলক্ষে কোচবিহারে মদনমোহন মন্দিরে তৃণমূল যুব কংগ্রেস পুজো দেয়। জেলা যুব সভাপতি কমলেশ অধিকারী ও যুব কর্মীরা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি নিয়ে মদনমোহন মন্দিরে পুজো দেন।
বৃহস্পতিবার ৩৮-এ পা দিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতেই আজকের এই জনসমুদ্র। অভিষেক কাউকে নিরাশ করেননি এদিন। মিশে গেছেন জনসমুদ্রে। তবে এর পাশাপাশি সাংবাদিকদের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় উঠে এল একাধিক প্রসঙ্গ। অভিষেক জানালেন, লোকসভা ফলাফলের নিরিখে কলকাতা বাদ দিয়ে রাজ্যের পিছিয়ে থাকা এলাকায় সাংগঠনিক রদবদলের তালিকা নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পাঠিয়েছেন তিনি। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন নেত্রী। শুধু তাই নয়, পারফরমেন্সের ভিত্তিতে বেশ কিছু সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পরিবর্তন করা উচিত বলেও নেত্রীকে নোট পাঠিয়েছেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-ছট পুজো নিয়ে গান লিখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রকাশিত হবে কাল
অভিষেক বলেন, ২০২৬-এর নির্বাচনে দলের টিকিট পাওয়ার ক্ষেত্রে আনুগত্যের থেকেও বেশি পারফরম্যান্সকে গুরুত্ব দেবে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। এদিন সকাল থেকেই কালীঘাটের বাড়ির সামনে কার্যত জনসমুদ্র। উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলের নেতা-কর্মী সাংসদ-বিধায়ক ও মন্ত্রীরা এসেছেন অভিষেককে জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও ভালবাসা জানাতে। প্রতিবছরের মতো এ-বছরও বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে জনসমুদ্রে কার্যত মিশে যান অভিষেক। শুরু হয় দফায় দফায় জনতার আবদার মেটানো। চোখে অস্ত্রোপচারের পর এটাই কার্যত তাঁর সেইভাবে জনসমক্ষে আসা। রাস্তায় জনসমুদ্রের মাঝে দাঁড়িয়েই কর্মীদের আনা একের পর এক কেক কেটেছেন তিনি। মিটিয়েছেন সেলফির আবদার। টি-শার্টে অটোগ্রাফ দিয়েছেন। তাঁকে সামনে পেয়ে বারবার উদ্বেল হয়েছে জনতা। তিনিও পাল্টা অভিবাদন ফিরিয়ে দিয়েছেন। সেই পর্ব কিছুক্ষণের জন্য মিটিয়ে একান্তে বসেছেন সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায়। ভাগ করে নিয়েছেন তাঁর চোখের অস্ত্রোপচারের একাধিক ঘটনাবলি। রাজ্যের আসন্ন উপনির্বাচন নিয়ে তাঁর বক্তব্য, সব ক’টি আসনই জেতা উচিত। তবে কোথাও কোনও সমস্যা মনে হলে দলের তরফে জোর দেওয়া হয়েছে। তিনি নিজের মতামত জানিয়েছেন আরজি কর-ইস্যু ও তার পরবর্তী গতিপ্রকৃতি নিয়েও। দলের বিধায়কের আনা কেক কেটেছেন। সকাল থেকে দুপুর গড়িয়ে বিকেল সন্ধে— অভিষেকের বাড়ির সামনে ভিড় বেড়েই চলেছে। বীরভূমের সংগঠন নিয়ে অভিষেকের স্পষ্ট বক্তব্য, নেত্রীর তৈরি করে দেওয়া কোর কমিটিই থাকা উচিত। তাঁর কথায়, ২০১৯-এর তুলনায় ২০২৪-এ এই জেলায় তৃণমূলের ফলাফল বেশ ভাল হয়েছে।