ত্রিপুরার উপনির্বাচনে আশানুরূপ ফল করতে পারে নি তৃণমূল কংগ্রেস। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পাল্টা একহাত নেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এছাড়া সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছেন ঠিক কি কারণে তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনের ফল এরকম হল এবং মানুষের রায় মেনেই যে তারা পরবর্তী পরিকল্পনা করছেন সেই কথাও ব্যক্ত করেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, ‘মানুষ যা রায় দিয়েছেন, তা আমরা মাথা পেতে নিয়েছি। কিন্তু যে ফলাফল এদিন সামনে এসেছে, তা ত্রিপুরাবাসীর প্রকৃত প্রতিফলন নয়। বিজেপি যে ত্রিপুরায় জয় পেয়েছে, তা ভোট লুঠের ফল।
আরও পড়ুন-সোমবার ২ জেলা সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আসানসোলে জনসভা, রয়েছে প্রশাসনিক বৈঠক
কলকাতা বিমান বন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক বলেন, ‘ভোটের দিন যেভাবে গুন্ডামি, লুঠপাট চালানো হয়েছে, তাতে এই ফলই কাম্য। ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে। সেই প্রহসনের ফলপ্রকাশ হল এদিন। বহু জায়গায় এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি। ভুয়ো ভোটার দিয়ে অবাধ ছাপ্পা মারা হয়েছে। আমরা ভুয়ো ভোটার ধরেছি। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের ছবিতে উঠে এসেছেন গণতন্ত্রের লজ্জাজনক সব ছবি। তাই এদিনের ফলাফল মানুষের সঠিক প্রতিফলন নয়।’ অভিষেক আরও বলেন, ‘গণতন্ত্রে গণদেবতাই আসল। মানুষ যা রায় দিয়েছেন তা আমরা মাথা পেতে নিচ্ছি। কিন্তু যে লড়াইয়ে আমরা নেমেছি, সেই লড়াই এখানেই থেমে যাবে না। আমরা লড়াই চালিয়ে যাব। আমরা ত্রিপুরাবাসীর পাশে দাঁড়াব। যাঁরা ভোট দিয়েছেন তাঁদের পাশেও থাকব, যাঁরা ভোট দেননি তাঁদের পাশেও থাকব।’
আরও পড়ুন-কোবিন্দকে বাংলো
তিনি স্পষ্ট করেই বলেন, ‘যতদিন না ত্রিপুরায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হচ্ছে তৃণমূল একচুল জমিও ছাড়বে না। যে মানসিকতা নিয়ে আমাদের লড়াই শুরু হয়েছিল, সেই অবস্থান থেকে আমরা সরে আসব না। আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য ২০২৩-এর বিধানসভা নির্বাচন।’