স্বৈরাচার দিয়ে বাংলার চেতনাকে চূর্ণ করা যায় না, একুশের সকালে বার্তা অভিষেকের

Must read

একুশে জুলাই শহিদ দিবস উপলক্ষে তৃণমূল কংগ্রেসের বার্ষিক ‘শ্রদ্ধাঞ্জলি’ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষের ঢল ধর্মতলায়। আদালতের নির্দেশ মেনে অফিস টাইমের আগেই ঘাসফুলের কর্মী সমর্থকেরা প্রিয় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা শুনতে পৌঁছে গিয়েছেন মঞ্চের কাছে। বর্ণাঢ্য মিছিলে বারবার শোনা যাচ্ছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নামে জয়ধ্বনি। এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় একুশে জুলাই দিনটির গুরুত্ব স্বরণ করিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান পোস্ট তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের।

আরও পড়ুন- ১৯ বছর পর মুম্বই ট্রেন হামলার ঘটনায় ১২ দোষীকেই মুক্তি দিল হাইকোর্ট

১৯৯৩ সালে আজকের দিনে যে নৃশংস ঘটনা ঘটেছিল এ রাজ্যের বুকে তা কোনদিনই ভোলার নয়। রবিবার ধর্মতলার মঞ্চে প্রস্তুতি দেখতে গিয়েও মুখ্যমন্ত্রী সেই রক্তাক্ত স্মৃতির কথা উল্লেখ করে জনগণের আবেগকে সম্মান জানিয়েছেন। রাতে সর্বময় নেত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার পর সোমবার সকালে সমাজমাধ্যমে বার্তা দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তিনি লেখেন, ‘শহিদ দিবস মনে করায় বুলেট শরীরকে হত্যা করতে পারে কিন্তু বিশ্বাসকে নয়। স্বৈরাচার দিয়ে বাংলার চেতনাকে কখনই চূর্ণ করা যায় না। ক্ষমতার জন্য নয় বরং গণতন্ত্রের নীতির জন্য ১৯৯৩ সালে, ১৩ জন সাহসী মানুষ শহিদ হয়েছিলেন। তাঁদের সাহস এমন একটি আন্দোলনকে প্রজ্বলিত করেছিল যা আমাদের রাষ্ট্র ও জাতির ভাগ্য গঠন করেছিল।’ তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক আরও লেখেন, ‘আজ, আমাদের গণতন্ত্র এবং মাতৃভূমির প্রতিটি ইঞ্চি রক্ষা করার জন্য আবার সেই অঙ্গীকার করছি। শপথ নিচ্ছি একতা দিয়ে ঘৃণা বিদ্বেষ মোকাবিলা করার। যাঁরা সংবিধান পরিবর্তন চেষ্টা করছে তাঁদের বিরুদ্ধে লক্ষে অবিচল থাকার। যাঁরা বাংলার আত্মবিশ্বাস এবং সংকল্প পরীক্ষা করার সাহস করে – তাঁরা জেনে রাখুন: স্মৃতি আমাদের বর্ম। প্রতিরোধ আমাদের উত্তরাধিকার। আমরা পিছু হটব না। আমরা আত্মসমর্পণ করব না।’ সবশেষে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানও লিখেছেন অভিষেক। শহিদ তর্পনের পাশাপাশি ছাব্বিশের নির্বাচনে দলীয় কর্মী সমর্থকদের কাছে রোড ম্যাপ পৌঁছে দিতে আর কিছুক্ষণের মধ্যেই একুশের সভামঞ্চে পৌঁছে যাবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

Latest article