অঞ্চল ভিত্তিক হেল্প ডেস্ক, BLO টু-দের সঙ্গে যোগাযোগে জনপ্রতিনিধিরা: বৈঠকে একগুচ্ছ নির্দেশ অভিষেকের

Must read

SIR-এর জন্য ৪ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত অঞ্চল ভিত্তিক হেল্প ডেস্ক চালু করবে তৃণমূল। বিধায়ক-সাংসদদের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে, প্রতিটি বিধানসভায় ৪ নভেম্বর থেকে বিএলএ ২-এর সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন। শুক্রবার, SIR নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠকে এই রকম গুচ্ছ নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এদিন ১৮ হাজার তৃণমূল নেতা-কর্মী নিয়ে মেগা ভার্চুয়াল বৈঠক করছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।

বৈঠকে অভিষেক (Abhishek Banerjee) এসআইআর (SIR) নিয়ে বিএলএ (BLA) অর্থাৎ বুথ লেভেল এজেন্টদের কী করণীয় তা অক্ষরে অক্ষরে বুঝিয়ে দিয়েছেন। মোট ২৯৪টি ওয়ার রুম (War Room) খোলার নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। যার তদারকি করবেন এলাকার বিধায়করা। যেখানে বিধায়ক নেই, সেখানে দায়িত্ব সামলাবেন ব্লক প্রেসিডেন্টরা। ওয়ার রুমে পর্যাপ্ত ল্যাপটপ ও ইন্টারনেট কানেকশন থাকবে। কম্পিউটার জানা চার-পাঁচজনকে রাখা হবে।

অভিষেক জানান, “প্রতিটি বিধানসভায় বিধায়ক-সাংসদদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৪ নভেম্বর থেকে বিএলএ ২-এর সঙ্গে তাঁরা যোগাযোগ রাখবেন। ১০ জনকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। ১ জন প্রতিদিন একটি বিধানসভার ৩০ জন বিএলএ ২-এর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করবেন। সমস্যা জেনে বিধায়ক-সাংসদরা সমাধান করবেন। না পারলে আমাদের জানাবেন।“

আরও পড়ুন- চাপের পড়ে নয়া ওয়েব সাইট রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী দফতরের

দলের সেনাপতির স্পষ্ট নির্দেশ, আগামী ৩ মাস তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ও গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। বাংলার ৩৩৪৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত, ২৯০০ মিউনিসিপালিটি ওয়ার্ড আছে। বিএলও-দের এই বাড়ি বাড়ি যাওয়ার সময় প্রতিটি এলাকায় ক্যাম্প খুলতে হবে। দলের সিদ্ধান্ত, ৪ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর নির্দিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত হেল্প ডেস্ক (Help Desk) চালু করতে হবে। সেখানে অন্তত একটা ল্যাপটপ , প্রিন্টার, ইন্টারনেট কানেকশন রাখতে হবে। কোনও মানুষ সাহায্য চাইলে তারা যেন একমাত্র তৃণমূলকেই পাশে পায়। সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত ক্যাম্প চলবে।

অভিষেক জানান, বৈধ ভোটারের নাম বাদ গেলে আমরা লড়াই দিল্লিতে নিয়ে যাব। বিস্তারিত জানাব। আগামী কয়েকমাস আমি নিজেই রাস্তায় থাকব। তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কথায়, “কমিশনকে কাজে লাগিয়ে বিজেপি ভোটার তালিকায় চুপি চুপি কারচুপি করতে চাইছে। একজনও প্রকৃত ভোটারের নাম যাতে বাদ না যায়, তাই এই উদ্যোগ।”

Latest article