সংগঠন সংক্রান্ত একাধিক সুপারিশ অভিষেকের, দলে পারফরম্যান্সই হবে শেষ কথা

Must read

প্রতিবেদন : অন্য কোনও কিছুই নয়, দলে পারফরম্যান্সই হবে শেষ কথা। ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এভাবেই পথ চলতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে ব্যক্তিগত স্বার্থকে পিছনে রেখে দলের হয়ে ও দলের স্বার্থে যে বা যারা মানুষের পাশে থেকে কাজ করবে, দল তাদের কাজে গুরুত্ব দেবে, মতামত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)। বৃহস্পতিবার ৩৮-এ পা দেওয়া অভিষেক জানিয়েছেন, চোখের অস্ত্রোপচারের কারণে পুজোয় বিদেশ যাওয়ার আগে দলের কলকাতা বাদে রাজ্যের বাকি পুরসভা এলাকায় সাংগঠনিক রদবদলের সুপারিশ পাঠিয়ে দিয়েছেন দলনেত্রীকে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই রদবদলের সঙ্গেই বেশ কিছু জেলা সভাপতি পরিবর্তনের জন্যও সুপারিশ করেছেন তিনি। অভিষেকের কথায়, যারা কাজ করবে তারাই থাকবে। একথা তিনি আগেও একাধিকবার জনসভায় দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেছেন।
বৃহস্পতিবার ৩৮-এ পা দিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতেই বৃহস্পতিবারের ওই জনসমুদ্র। অভিষেক কাউকে নিরাশ করেননি এদিন। মিশে গিয়েছেন জনসমুদ্রে। তবে এদিন জনসংযোগের পাশাপাশি সাংবাদিকদের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় উঠে এল একাধিক প্রসঙ্গ। অভিষেকের কথা থেকে স্পষ্ট হয়ে গেল, ২০২৬-এর নির্বাচনে দলের টিকিট পাওয়ার ক্ষেত্রে আনুগত্যের থেকেও পারফরম্যান্সকে বেশি গুরুত্ব দেবে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। এদিন সকাল থেকেই কালীঘাটের বাড়ির সামনে কার্যত জনসমুদ্র। উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলের নেতা-কর্মী, সাংসদ-বিধায়ক ও মন্ত্রীরা এসেছেন অভিষেককে জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও ভালবাসা জানাতে। প্রতি বছরের মতো এ-বছরও বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে জনসমুদ্রে কার্যত মিশে যান অভিষেক। শুরু হয় দফায় দফায় জনতার আবদার মেটানো। চোখে অস্ত্রোপচারের পর এটাই কার্যত তাঁর সেইভাবে জনসমক্ষে আসা। রাস্তায় জনসমুদ্রের মাঝে দাঁড়িয়েই কর্মীদের আনা একের পর এক কেক কেটেছেন তিনি। মিটিয়েছেন সেলফির আবদার। টি-শার্টে অটোগ্রাফ দিয়েছেন। তাঁকে সামনে পেয়ে বারবার উদ্বেল হয়েছে জনতা। তিনিও পাল্টা অভিবাদন ফিরিয়ে দিয়েছেন। সেই পর্ব কিছুক্ষণের জন্য মিটিয়ে একান্তে বসেছেন সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায়। সে সময় এলেন অভিষেকের সন্তানরা। দু’জনেই জড়িয়ে ধরে বাবাকে শুভেচ্ছা জানালেন।
এদিন অভিষেক সাংবাদিকদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন তাঁর চোখের অস্ত্রোপচারের একাধিক ঘটনাবলি। রাজ্যের আসন্ন উপনির্বাচন নিয়ে তাঁর বক্তব্য, সব ক’টি আসনই জেতা উচিত। তবে কোথাও কোনও সমস্যা মনে হলে দলের তরফে জোর দেওয়া হয়েছে। তিনি নিজের মতামত জানিয়েছেন আরজি কর-ইস্যু ও তার পরবর্তী গতিপ্রকৃতি নিয়েও। দলের বিধায়কের আনা কেক কেটেছেন। সকাল থেকে দুপুর গড়িয়ে বিকেল সন্ধে— অভিষেকের বাড়ির সামনে ভিড় বেড়েই চলেছে। বীরভূমের সংগঠন নিয়ে অভিষেকের স্পষ্ট বক্তব্য, নেত্রীর তৈরি করে দেওয়া কোর কমিটিই থাকা উচিত। তাঁর কথায়, ২০১৯-এর তুলনায় ২০২৪-এ এই জেলায় তৃণমূলের ফলাফল বেশ ভাল হয়েছে।

আরও পড়ুন- ঝাড়গ্রাম হাসপাতালের চিকিৎসকের রহস্যমৃত্যু

Latest article