“বাংলার সিঙ্গল ইঞ্জিন সরকার কেন্দ্রের ডবল ইঞ্জিনের চেয়ে অনেক বেশি ক্ষমতাশালী।” বৃহস্পতিবার রাজ্য বাজেটে অসংখ্য জনমুখী প্রকল্প ও নাগরিক পরিষেবা সংক্রান্ত একাধিক পদক্ষেপ ঘোষণার পর এমনটাই জানালেন, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
একরাশ জনমুখী প্রকল্প ও অসংখ্য নাগরিক পরিষেবায় ভরা ২০২৩-২৪ রাজ্য বাজেট। বাংলার স্বনির্ভরতার পথে নয়া দিশা দেখিয়েছে রাজ্য সরকারের পরিকল্পনা। এদিন বাজেটের পরতে পরতে ধরা পড়েছে সেই ছবি। রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের তরফে বাজেট ঘোষণার পর বাজেটের প্রশংসা করে বার্তা দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোশ্যাল মিডিয়া তিনি লেখেন, “আমাদের মা বোন এবং গরিবদের হাতকে শক্তিশালী করে স্বনির্ভর বাংলার পথ তৈরি করছি। লক্ষীর ভান্ডারকে উৎসাহিত করা থেকে শুরু করে রাজ্য সরকারের দূরদর্শী কর্মশ্রী প্রকল্প, রাজ্য সরকারের বাজেট ২০২৪ সবার অগ্রগতি নিশ্চিত করবে।” একই সঙ্গে তিনি যোগ করেন, “বাংলার সিঙ্গল ইঞ্জিন সরকার ডবল ইঞ্জিনের চেয়ে অনেক বেশি ক্ষমতাশালী।”
আরও পড়ুন- ঐতিহাসিক বাজেট! কেন্দ্রের বঞ্চনা সত্ত্বেও দেখিয়েছি কীভাবে এগোতে হয়: মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর
কেন্দ্রের বঞ্চনা সত্ত্বেও বিকল্প পথ কীভাবে তৈরি করতে হয় তা দেখিয়ে দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ঐতিহাসিক বাজেটে একদিকে যেমন রাজ্যের প্রকল্পে ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে, একই সঙ্গে নতুন স্কিম চালু করা হয়েছে। বরাদ্দ বেড়েছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকার অঙ্ক দ্বিগুণ করার পাশাপাশি মৎসজীবীদের ২ মাস সমুদ্রে না যাওয়ার জন ১০ হাজার টাকা, এর পাশাপাশি সরকারি কর্মীদের ৪ শতাংশ ডিএ। ১০০ দিনের কাজের পাল্টা এবার রাজ্যবাসীদের জন্য ৫০দিনের কাজের প্রকল্প চালু করছে রাজ্য। তাছাড়াও ৫ লক্ষ সরকারি চাকরি দেওয়ার ঘোষণা করেছেন, বেতন বাড়ানো হয়েছে সিভিক পুলিশ ও চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকদের। সব মিলিয়ে স্বনির্ভর বাংলার লক্ষ্যে নয়া দিশা দেখিয়েছে এই বাজেট।