কথায় কথায় মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি বলেন “কম্পারমেন্টাল মুখ্যমন্ত্রী”! কারণ, একুশের বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রামে সামান্য ব্যবধানে হারতে হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে গণনার সেই ফলাফল নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। সমস্ত সংবাদ মাধ্যমে দেখানো হয়েছিল “নন্দীগ্রামে জয়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়”! কিন্তু কোন রহস্যে ঘন্টাখানেকের মধ্যে ছবিটা বদলে গিয়েছিল সেটাই এখন কোটি টাকার প্রশ্ন। বিষয়টি এখন আদালতে বিচারাধীন। পরে অবশ্য ভবানীপুর উপনির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতে তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, নন্দীগ্রামে বিতর্কিত ফলাফলে জিতে বিরোধী দলনেতা দলবদলু শুভেন্দু অধিকারী।
নন্দীগ্রামের ফলাফল নিয়ে এবার শুভেন্দুর পাড়াতে দাঁড়িয়ে শুভেন্দুকেই বিঁধলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের খোঁচা, “উনি তো RAC বিধায়ক! নিজের বুথে হারেন, ওয়ার্ডে হারেন, বিধানসভা ভোটে লোডশেডিং করে জিততে হয়। ভারতের এমন এক বিধায়ক, যাঁর জয় নিয়ে মামলা চলছে। আমি বলছি, নন্দীগ্রামের ভোট বাতিল হবেই।”
আরও পড়ুন- ‘কোনও দাদা দিদি ধরে চাটুকারিতা করে টিকিট পাওয়া যাবে না’, কাঁথির সভা থেকে স্পষ্টবার্তা অভিষেকের
উল্লেখ্য, নন্দীগ্রামের ফলাফল নিয়ে ঘাসফুল শিবিরের তরফে শিবিরে শুভেন্দু অধিকারীকে “লোডশেডিং বিধায়ক” বলে কটাক্ষ করা হয়। অভিযোগ, ভোট গণনার সময় শুভেন্দু কায়দা করে লোডশেডিং করিয়ে হয় গণনায় কারচুপি করেছিলেন। নাহলে তিনি জিততে পারতেন না।
অন্যদিকে, কাঁথিকে অধিকারীদের গড় বলা হয়। কিন্তু এই বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট আপত্তি আছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সংবাদ মাধ্যমের সামনে যা নিয়ে প্রশ্নও তোলেন অভিষেক। তাঁর দাবি, “এটা তৃণমূলের গড়”! জেলায় লোকসভা, বিধানসভা, পুরসভা, পঞ্চায়েতের ফলাফল দেখলেই বোঝা যাবে, অধিকারী নয়, কাঁথি সহ পূর্ব মেদিনীপুরের মানুষ তৃণমূলের সঙ্গে।