সোমবার, শ্যামনগরে দলীয় সভা থেকে মন্তব্য তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তিনি বলেন, যাঁরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) গিয়েছিলেন, তাঁরা বুঝছেন বিজেপিকে নিয়ে আসা আর খাল কেটে কুমীর আনা এক। তৃণমূল দরজা খুললে বিজেপি দলটা উঠে যাবে- এদিন ফের জানান অভিষেক। ”বিজেপির কাছে এত টাকা, এজেন্সি আছে, কিন্তু তৃণমূলের মতো কর্মী নেই। যে দল ভেবেছিল ব্যারাকপুরকে অশান্ত করবে, তারা এখন চূর্ণ-বিচূর্ণ। আজ বিজেপি ছেড়ে একে একে তৃণমূলে আসছেন। কর্মীরাই তৃণমূলের সবচেয়ে বড় সম্পদ। যারা ভাবে এ এক নম্বর ও ২ নম্বর- তাঁদের বলি তৃণমূলে এক নম্বর মমতা, দলের কর্মীরা ২ নম্বর” এমনটাই দাবি করেন অভিষেক।
আরও পড়ুন-‘আদিবাসীদের জমি যদি কেউ নেয় তাহলে BLRO-নামে এফআইআর হবে’, নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
গত লোকসভা নির্বাচনে বারাকপুর গিয়েছিল বিজেপির দখলে। কিন্তু বিধানসভা ভোটে আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল। অভিষেক বলেন, যে দল ভেবেছিল বারাকপুরকে অশান্ত করবে, তারাই চূর্ণ-বিচূর্ণ। বাংলার মানুষ তৃণমূলকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় এনেছে। শ্যামনগরে দলীয় সভা থেকে তার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। বলেন, আজ তৃণমূল শুধু বাংলায় সীমাবদ্ধ নয়, রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে গিয়েছে।
গত বছর বিধানসভা ভোটের আগে ক্ষমতা দখলের যে ফানুস উড়িয়েছিল বিজেপি, ফল প্রকাশের পরেই তা চুপসে যায়। অভিষেক বলেন, অনেকেই তৃণমূলে আসার জন্য পা বাড়িয়ে আছেন। তৃণমূল দরজা খুললেই বিজেপি উঠে যাবে।
আরও পড়ুন-BLRO অফিসের কাজে দোকানে টাকা নেওয়ার প্রমাণ সহ অভিযোগ তুললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধেও এদিন তীব্র আক্রমণ করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। বলেন, ভারতে ১০০টি জুটমিলের মধ্যে অধিকাংশই বাংলায়। কিন্তু সেই পাটশিল্পের উন্নয়নে কোনও কাজ করেনি কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসারা আগে বিজেপি বলেছিল আচ্ছে দিন আসবে, কিচ্ছু হয়নি, উল্টে পেট্রোপণ্যের আকাশ ছোঁয়া দাম বেড়েছে। “আমরা দিল্লির কাছে বশ্যতা স্বীকার করিনি।“ কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী সবাই তাকিয়ে আছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াইয়ের দিকে, তৃণমূল কংসগ্রেসের দিক।
আরও পড়ুন-ঋতুপর্ণ ঘোষের প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধার্ঘ্য মুখ্যমন্ত্রীর
অভিষেক অভিযোগ করেন, বিজেপি সবাইকে ইডি-সিবিআই ডেকে আটকে রেখেছে। ”আমার বিরুদ্ধে কিছু প্রমাণ করতে পারলে করো। সবার বিরুদ্ধে ইডি-সিবিআই লাগিয়ে চমকানোর চেষ্টা করছে।” বাংলায় হেরে দুবার পেট্রোপণ্যের দাম সামন্য কমিয়েছে বিজেপি। এদের দিল্লি ছাড়া করা আহ্বান জানান অভিশেক। একই সঙ্গে দলের কর্মী-সমর্থকদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন অভিষেক।