প্রতিবেদন : গত ১০ বছর ধরে যত চোট বিজেপি সরকার দিয়েছে তার জবাব দিতে হবে ভোটে। বিভাজন-বৈষম্যের রাজনীতি করা বিজেপিকে বুঝিয়ে দিতে হবে, কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারিকা এদেশে সকলের সমান অধিকার। বুধবার মেটিয়াবুরুজের সভায় এভাবেই বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে জনবিরোধী এই সরকারকে উৎখাতের ডাক দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তিনি বলেন, বৈষম্যের-বিভাজনের রাজনীতি করা বিজেপিকে বিসর্জন দিতে হবে। বাংলায় বিভাজনকারীদের কোনও জায়গা নেই। মেটিয়াবুরুজ-সহ গোটা বাংলার সম্প্রীতিকে আমরা বুক দিয়ে আগলে রেখেছি। আমরা বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। অভিষেকের সংযোজন, ডায়মন্ড হারবার লোকসভার ৭টি বিধানসভার মধ্যে মেটিয়াবুরুজ অঞ্চলে ভোটের ব্যবধান সব থেকে বেশি ছিল। বিজেপির বৈষম্যের রাজনীতির বাড়াভাতে ছাই দিয়ে এবারও মেটিয়াবুরুজ একনম্বরেই থাকবে। অভিষেকের (Abhishek Banerjee) সংযোজন, গত ১০ বছরে এই অঞ্চলে আমরা কী করেছি তা আপনারা জানেন। সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, জল-কল— সবই করা হয়েছে। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই যৌথ সভা পরিণত হয়েছিল জনসুনামিতে। এদিন দলীয় পতাকা লাগাতে গিয়ে আচমকা অসুস্থ হয়ে মারা যান দলের একনিষ্ঠ কর্মী নাসিরুদ্দিন মোল্লা। সে-কথা উল্লেখ করে তাঁর পরিবারকে আশ্বস্ত করে অভিষেক বলেন, যতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মা-মাটি-মানুষের সরকার রয়েছে ততদিন আপনাদের চিন্তার কোনও কারণ নেই। আমরা আপনাদের পাশে আছি। এই অসম্ভব গরমের কারণেই আমরা চেয়েছিলাম মার্চ-এপ্রিলে নির্বাচন হোক। কিন্তু গরিব মানুষকে শাস্তি দিতে বিজেপি এই সময় নির্বাচন করছে। এদিন অভিষেক এক-একটি লাইন বলেছেন আর উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনায়, হাততালিতে ফেটে পড়েছেন জনতা। জননেত্রী বক্তব্য রাখবেন তাই নিজের কথা বলে শেষ করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। শেষ করার আগে অভিষেক বলেন, না ডরনেওয়ালে হেঁ, না ঝুঁকনেওয়ালে হেঁ, ৪ তারিখ কো তুমকো সত্তাসে উখাড়কে ফেকনেওয়ালে হেঁ।
আরও পড়ুন-প্রধানমন্ত্রীর সভায় বাইরে থেকে লোক, নেত্রীর উত্তরের পদযাত্রা জনসমুদ্র