আগরপাড়ার পরে কোচবিহার। ফের SIR-NRC আতঙ্কে আত্মহত্যার চেষ্টার অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার কোচবিহারের বুড়িরহাট ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের জিতপুর এলাকায়। পরিবারের অভিযোগ, বিষ খেয়ে আত্মহত্যা চেষ্টা করেছেন বৃদ্ধ খাইরুল শেখ। কোচবিহার এম জে এন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। আগরপাড়ার মৃত প্রদীপ করের বাড়ি গিয়ে এই ঘটনায় খইরুল শেখের দ্রুত সুস্থতা কামনা করলেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।
অভিযোগ, বৃদ্ধ খাইরুল শেখের ভোটের কার্ডের নাম ভুল এসেছে। তাঁকে বাংলাদেশের পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে আতঙ্কে ভুগছিলেন তিনি। আর সেই জেরেই তার এই ঘটনা বলে অভিযোগ। কোচবিহারের পুলিশ সুপার সন্দীপ কাররা জানিয়েছেন, দিনহাটার বাসিন্দা খাইরুল শেখ বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। ভোটার তালিকায় নামের বানান ভুল থাকায় খাইরুল আতঙ্কে ছিলেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। ওঁর নাম খাইরুল শেখ। কিন্তু ভোটার তালিকায় তার নাম খয়রু শেখ লেখা আছে। “এই নিয়ে তিনি বেশ কিছু দিন ধরেই চিন্তিত ছিলেন বলে জানতে পেরেছি।”
বুধবার সকালে খাইরুল বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে হাসপাতালে কিছুটা স্থিতিশীল খাইরুল। হাসপাতালে হাজির হন কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক।
আরও পড়ুন- বাবা-ঠাকুরদার সার্টিফিকেট নিয়ে আয়: বিজেপি নেতারা প্রচারে এলে দাওয়াই অভিষেকের
এদিন, আগরপাড়া থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক বলেন, “দিনহাটায় এক ব্যক্তি বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। প্রার্থনা করছি উনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক।” তীব্র আক্রমণ করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (abhishek banerjee) বলেন, ”এক দিকে নির্বাচন কমিশন অন্য দিকে, কেন্দ্রের সরকার মানুষকে ভীত-সন্ত্রস্ত তৈরি করে রাখছে। তারা ঠিক করছে দেশের নাগরিক কারা! এসআইআর ঘোষণা হওয়ার পরে উনি ঘরে ঢুকেছেন। সকালে দেখা গেল, উনি বেঁচে নেই! এটা কি কাকতালীয়! এঁদের মৃত্যুর জন্য দায়ী অমিত শাহ, জ্ঞানেশ কুমার।” অভিষেকের সংযোজন, ”শুধু প্রদীপই নন, এসআইআর করে এমন ভয়ের সঞ্চার হয়েছে নানা জায়গায়। আতঙ্কে চরম পদক্ষেপ করছেন মানুষ। দিনহাটায় এমন একটি ঘটনার খবর কানে এসেছে তাঁর। আত্মহত্যার চেষ্টা করা ওই ব্যক্তি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।”
একই সঙ্গে সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার বার্তা দেন অভিষেক। বলেন, “হাত জোর করে অনুরোধ, ভয় পাবেন না। আমরা বেঁচে আছি। যাঁরা বছরের পর বছর আছেন, তাঁদের বাংলাদেশি বলে তাড়ানো হবে, এত সোজা নয়। বুকের রক্ত দিয়ে রক্ষা করব। কোনও এসআইআর বা এনআরসি করে যদি এরা যদি ১টা লোককে বাদ দেন, তাহলে ১ লক্ষ নিয়ে কমিশন ঘেরাও হবে।”

