নয়া অ্যাপ, কর্মসূচি অভিষেকের

অ্যাপে যে ১৫ প্রকল্পের পরিষেবা— *খাদ্যসাথী * বাংলার আবাস যোজনা * নিজ গৃহ-নিজ ভূমি * স্বাস্থ্যসাথী * কন্যাশ্রী * শিক্ষাশ্রী * ঐক্যশ্রী * স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড * লক্ষ্মীর ভাণ্ডার * কৃষকবন্ধু * সামাজিক সুরক্ষা যোজনা * মানবিক পেনশন * জয়বাংলা পেনশন স্কিম * বিধবা ভাতা * যুবশ্রী

Must read

প্রতিবেদন : ‘দিদিকে বলো’, ‘বাংলার গর্ব মমতা’-র পর এবার ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’। সোমবার নজরুলমঞ্চে সাংবাদিকদের সামনে দলের এই নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে সূচনা হল নতুন মোবাইল অ্যাপ ‘দিদির দূত’-এরও। এরপর নজরুলমঞ্চের ভিতরে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Didir Suraksha Kawach- Abhishek Banerjee) দলীয় সতীর্থদের এই নতুন কর্মসূচি সম্পর্কে ব্রিফ করেন। প্রথম পর্যায়ে ১১ জানুয়ারি থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়ে চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। অভিষেকের কথায়, পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে এই কর্মসূচি নয়। তাহলে পুরসভা এলাকাতেও এই কর্মসূচি আমরা করতাম না।

তাঁর সংযোজন, আগামী ৬০ দিনে বাংলার ৩৩৪৩টি অঞ্চলে ‘দিদির দূত’রা যাবে। যারা অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে, ধৈর্য নিয়ে, সংবেদনশীল মন নিয়ে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কথা বলবে। তৈরি করা হয়েছে মোবাইল অ্যাপ ‘দিদির দূত’। যার মধ্যে দিয়ে রাজ্যের সাড়ে দশ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছবে তৃণমূল কংগ্রেসের ভলান্টিয়াররা। শোনা হবে মানুষের অভাব-অভিযোগ। একইসঙ্গে রাজ্য সরকারের ১৫টি প্রকল্পকে তুলে ধরা হবে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ প্রচারে। এছাড়া ৩২০ জন পদাধিকারীর একটি টিম প্রথম পর্যায়ে গ্রামে যাবে। ১০ দিন করে রাত কাটাবে। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলবে, গুণিজন সংবর্ধনা হবে। স্বল্প আয়োজনে মধ্যাহ্নভোজন হবে। এলাকার বিভিন্ন সরকারি ভবন ও সরকারি হাসপাতালে সারপ্রাইজ ভিজিট হবে। সন্ধ্যায় দলীয় কর্মী ও দিদির দূতদের নিয়ে আরও একটি কর্মসূচি হবে। বাংলার ১১৭টি পুরসভা ও ৬০টি কর্পোরেশন এলাকাতেও এই কর্মসূচি একইসঙ্গে চলবে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পষ্ট নির্দেশ, ৩৩৪৩টা অঞ্চলে ৩২০ জন পদাধিকারী যাবেন। এক- একজন সব মিলিয়ে দশটা রাত কাটাবেন।

আরও পড়ুন- প্রয়াত সংগীতশিল্পী সুমিত্রা সেন

বুথ প্রতি পাঁচজনের টিম তৈরি করতে হবে। এই পাঁচজনের এক-একজন অন্তত পাঁচটি করে বাড়িতে যাবেন। দিদির দূত অ্যাপের মাধ্যমে প্রতিটা মানুষের অভাব-অভিযোগ লিপিবদ্ধ করবেন। যে সরকারি স্কিম রয়েছে সেই স্কিমের কোনটা তাঁরা পেয়েছেন, কোনটা পাননি, কেন পাননি সেটা বোঝার চেষ্টা করবেন ও অ্যাপে লিপিবদ্ধ করবেন। এই কাজে বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস বা তৃণমূল কংগ্রেস সবার কাছেই যেতে হবে। কাউকে বাদ দেওয়া যাবে না। এদিনের লঞ্চের পরে প্রতি জেলার হেড কোয়ার্টারে সাংবাদিক বৈঠক করে সবটা জানাবেন জেলা নেতৃত্ব। এরপর প্রতিটি বিধানসভায় করতে হবে সাংবাদিক বৈঠক। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেছেন, বিজেপি এসব এজেন্সি দিয়ে করায়। কিন্তু আমাদের ছোট্ট ডেডিকেটেড আইটি টিম এটা করেছে। এর শব্দচয়ন করে ওরাই নাম দিয়েছে।

এদিনের সাংগঠনিক বৈঠকের শুরুতে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি তৃণমূল কংগ্রেসের ইতিহাস তুলে ধরেন। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও পরে বলেন, দলের ছাত্র-যুব ও দলে যাঁরা পরে এসেছেন তাঁদেরও দলের ইতিহাস জানতে হবে। নতুন কর্মসূচি লঞ্চের অনুষ্ঠানেও রাজ্য সভাপতি ছিলেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Didir Suraksha Kawach- Abhishek Banerjee) দলীয় সতীর্থদের নতুন কর্মসূচি সম্পর্কে পুরোটা ব্যখ্যা করে বলেন, আমরা সকলে মিলে এই কর্মসূচি সফল করব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেন, আমিও সময় পেলে নতুন কর্মসূচিতে যাব।

Latest article