এবার গোয়ায় সূর্যোদয় : অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

Must read

প্রতিবেদন : এবার গোয়ায় সূর্যোদয়। বললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করার পর ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফালেরিও-সহ ১০ জন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক স্পষ্ট ভাষায় জানালেন, তৃণমূলের লড়াই শুধু বিজেপির বিরুদ্ধে। এই লড়াইতে আমরাই জিতব। জোট নয়, গোয়ায় একাই লড়বে তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী ট্যুইট করে ফালেরিও- সহ সকলকে স্বাগত জানান। লেখেন, পশ্চিম ভারতের এই রাজ্যে আমরা সকলে হাতে হাত মিলিয়ে লড়াই করব, বিভেদকামী শক্তিকে তাড়াব।

আরও পড়ুন: হিংসা তদন্ত : আইনজীবী কপিল সিব্বলের প্রশ্নে বেকায়দায় কেন্দ্র

গোয়ার ৭ বারের বিধায়ক এবং দু’বারের মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফালেরিও। রীতিমতো দাপুটে নেতা এবং জনপ্রিয়। বুধবার তাঁর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন আরও ১০ নেতা। যাঁদের গোয়ার মানুষ এক ডাকে চেনেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে নবান্নে বৈঠক করার পর ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে তাঁদের হাতে পতাকা তুলে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন সৌগত এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায়। গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূয়সী প্রশংসা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বললেন, দিদি একজন স্ট্রিট ফাইটার। এখন দিদির মতো একজন লড়াকু নেত্রীকে দেশের দরকার। গোয়াতেও প্রয়োজন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর মতো দক্ষ ও স্বচ্ছ রাজনীতিবিদের। দিদিই পারেন দেশের বিভেদকামী শক্তি বিজেপিকে রুখতে। দিদি দেখিয়েছেন কীভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে হয়, জয় ছিনিয়ে নিতে হয়। কংগ্রেস কর্মী হিসেবে ৪০ বছর কাজ করেছি। এবার দিদির সঙ্গে পথচলা। জানি সহজ হবে না। কিন্তু লড়াইয়ে ভয় পাই না। জমি ছাড়ব না। আজ, বৃহস্পতিবার গোয়ায় আরও অনেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করবেন। এই মুহূর্তে গোয়ায় সাংগঠনিক কাজের তদারকি করছেন রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন, সুখেন্দুশেখর রায়, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় ও মনোজ তেওয়ারি।

আরও পড়ুন: গুলাবের পুনর্জন্ম! পশ্চিম ও মধ্য ভারতে এবার দাপাবে শাহিন

আগামী বছর ৪০ আসনের গোয়া বিধানসভায় ভোট। সেখানে কি কারও সঙ্গে জোট বেঁধে লড়বে তৃণমূল? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে অভিষেক জানান, গোয়ায় তৃণমূল একাই লড়বে। “পুজোর পরেই আমরা গোয়া যাব।” এরপরেই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে অভিষেক বলেন, “তৃণমূল ও কংগ্রেসের মধ্যে সবচেয়ে বড় পার্থক্য হল গত সাত-আট বছর ধরে তৃণমূল, বিজেপিকে হারিয়েই চলেছে। আর কংগ্রেস বিজেপির কাছে হেরে চলেছে।” তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, “কংগ্রেস যদি কাজ না করে, রাস্তায় না নেমে, বাড়ির স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতে চায়, তাহলে আমরা হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারি না। আমরা বিজেপিকে পরাজিত করতে চাই।” উত্তর-পূর্বের পরে এবার তৃণমূলের নজরে দেশের পশ্চিমাঞ্চল। আরব সাগরের পাড়ে জোড়া ফুল ফোটানোর লক্ষ্যেই এগোচ্ছে তৃণমূল। এদিনের যোগদান তার প্রথম ধাপ হিসেবে মত রাজনৈতিক মহলের।

Latest article