ভারতীয় মণীষী-বিশিষ্টদের স্মৃতি মুছতে তৎপর বাংলাদেশের মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার। একের পর এক ভাঙা পড়ছে এপার বাংলার স্মৃতি বিজড়িত সৌধ-ভবন। সেই তালিকায় এবার শিশু সাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী (Upendrakishore Ray Chowdhury) তথা সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক ভিটে। উন্নয়নের নামে ময়মনসিংহে ভাঙা শুরু হয়েছে সেই ভবন। বিষয়টির প্রতিবাদে ইতিমধ্যে সরব হয়েছেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার ক্ষোভ প্রকাশ করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “বিশাল ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক তাৎপর্যপূর্ণ একটি স্থানকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করা আমাদের ঐতিহ্যের উপর আক্রমণের চেয়ে কম কিছু নয়।“
ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ভারত সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুযায়ী, বাংলাদেশ সরকারকে ওই ভবন না ভাঙার আর্জি জানিয়েছে কেন্দ্র। এই বিষয় নিয়ে অভিষেক লেখেন,
“আমি অত্যন্ত মর্মাহত যে ঢাকায় অস্কারজয়ী চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাসভবনটি বাংলাদেশের সরকার ভেঙে ফেলছে। এই শতাব্দী প্রাচীন সম্পত্তিটি ছিল সত্যজিৎ রায়ের ঠাকুরদা, বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির এক উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর।
বিশাল ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক তাৎপর্যপূর্ণ একটি স্থানকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করা আমাদের ঐতিহ্যের উপর আক্রমণের চেয়ে কম কিছু নয়। এটি সর্বত্র বাঙালিদের সম্মিলিত বিবেকের উপর আঘাত এবং বিশ্ব শিল্পে রায় পরিবারের অতুলনীয় অবদানের প্রতি অবজ্ঞা।
আমি বাংলাদেশ সরকারকে এই কঠোর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার এবং এই সাংস্কৃতিক নিদর্শনটি রক্ষা ও সংরক্ষণের জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আমি ভারত সরকারকে যথাযথ দ্বিপাক্ষিক সম্পৃক্ততা শুরু করার আহ্বান জানাচ্ছি যাতে বাংলার সাংস্কৃতিক ইতিহাসের এই অপূরণীয় অংশটি ধ্বংসের ফলে হারিয়ে না যায়।“
আরও পড়ুন- ময়মনসিংহে উপেন্দ্রকিশোরের বাড়িতে সংগ্রহালয় তৈরি, মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধের পর বার্তা ভারতের
শিক্ষা থেকে শিল্প-সাহিত্য, বাংলাদেশে বিপর্যস্ত শিল্পী ও তাঁদের সৃষ্টি। মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার যে সুশাসনের দাবি জানাচ্ছে তার আরেক নজির ময়মনসিংহে উন্নয়নের নামে ভাঙা শুরু হল শিশু সাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরি (Upendrakishore Ray Chowdhury) তথা সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক ভিটে। ঘটনায় ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট নাগরিকরাও।