সোমনাথ বিশ্বাস, আগরতলা: তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) জানান, স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, অগ্নিবীররা নাপিত হবে, ইলেকট্রিশিয়ান হবে, প্লাম্বার হবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই মন্তব্যকে ধিক্কার জানান অভিষেক। বলেন, এই ধরণের মন্তব্যকারীদের দল থেকে তাড়ানো উচিত।
চারবছর পরে ‘অগ্নিবীর’ হিসেবে সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেওয়ার পর বিজেপির কার্যালয়ে নিরাপত্তা রক্ষীর কাজ দেওয়া হবে তাঁদের। রবিবার, ‘সগর্বে’ ঘোষণা করেছিলেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya)। তিনি একা নন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন, অবসরের পরে নাপিত, ইলেকট্রিশিয়ান, প্লাম্বার হবেন ‘অগ্নিবীর’রা। বিজেপি নেতাদের এই অপমানজনক মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে গর্জে উঠলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। উপনির্বাচনের প্রচারে ত্রিপুরা গিয়ে আগরতলার সাংবাদিক বৈঠক থেকে বিজেপি নেতৃত্বকে এক হাত নেন অভিষেক। বলেন, কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেছেন, অগ্নিবীররা অবসর নিলে বিজেপি অফিসের সিকিউরিটি গার্ড হবে। অর্থাৎ বিজেপি নেতার ছেলে হবে বিসিসিআইয়ের সচিব। কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ছেলে বিধায়ক হয়ে আমলাদের ব্যাট হাতে পেটাবে। আর অগ্নিবীররা দেশের সেবা করে দারোয়ান হবে? এর থেকে লজ্জাজনক মন্তব্য আর কিছু হতে পারে না।
দেশে নির্বাচন এলেই সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে শোরগোল ফেলে বিজেপি। এটা তাদের পুরনো ছক। সে কথা স্মরণ করেই অভিষেক কটাক্ষ করেন, “আপনারা তো বালোকোটকে সামনে রেখে ভোট করিয়েছিলেন। এখন সামনে নির্বাচন নেই বলে সেনা জওয়ানদের অপমান করা হচ্ছে। এই দ্বিচারিতা চলতে পারে না।” অভিষেককের মতে, অগ্নিবীর নিয়ে বিজেপি উদ্দেশ্যে এটাই। কৈলাস বলে ফেলেছেনে। যারা নিজের সেনা নিয়ে এরকম মন্তব্য করে তাদের দল থেকে বিদায় করা উচিত- তুলোধোনা করলেন অভিষেক।
অভিষেকের মতে, নোট বন্দি, কৃষি আইনের মতোই ‘অগ্নিপথ’ মোদি সরকারের একটি অপরিকল্পিতভাবে ঘোষিত প্রকল্প। প্রতিশ্রুতি আর জুমলা ছাড়া বিজেপি সরকার আর কিছুই দিতে পারে না। ‘অগ্নিপথ’ বিরোধী প্রতিবাদকে সমর্থন জানিয়েও তৃণমূল সাংসদ বলেন, দেখতে হবে যাতে এর জন্য দেশে কোথাও নৈরাজ্য সৃষ্টি না হয়।