শুভেন্দু-সুকান্তদের প্রকাশ্য চ্যালেঞ্জ, কুলাঙ্গার অমিত শাহর ছেলে জয় শাহ

Must read

প্রতিবেদন : গরু-কয়লা কেস আসলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কেলেঙ্কারি। বিএসএফ-সিআইএসএফ-এর তত্ত্বাবধানে গরু-কয়লা পাচারের টাকা সরাসরি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কাছে পৌঁছেছে, তোপ দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee- Amit Shah)। সোমবার মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভায় অভিষেক রীতিমতো বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন। রবিবার ভারত- পাকিস্তান ম্যাচে জাতীয় পতাকার অবমাননা করায় এদিন অমিত শাহ পুত্র জয় শাহকেও একহাত নিয়েছেন তিনি। অভিষেকের (Abhishek Banerjee- Amit Shah) কথায়, দেশ জেতার পর যে জাতীয় পতাকা হাতে নিতে অস্বীকার করে তাকে অবিলম্বে বিসিসিআইয়ের শীর্ষ পদ থেকে সরানো হোক। কারণ, সে দেশবিরোধী ও কুলাঙ্গার ছাড়া আর কিছু নয়। একইসঙ্গে তাঁর সংযোজন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর ন্যূনতম দেশপ্রেম থাকলে এক্ষুনি তিনি তাঁর ছেলেকে ত্যাজ্যপুত্র করুন। দেশবাসীকে পরে দেশপ্রেম-জাতীয়তাবাদ শেখাবেন। আগে নিজের ছেলেকে শেখান। এদিন সুকান্ত শুভেন্দুকেও একহাত নিয়েছেন অভিষেক। তাঁর কথায়, এরা বাংলা ভাগের চক্রান্ত করছে, হিম্মত থাকলে আমার নামে মামলা করো। আমায় তোলাবাজ বলো হিম্মত থাকলে, বেইমান-গদ্দার-ঘুষখোর শুভেন্দু অধিকারীকে ১০ দিনের মধ্যে ল্যাজেগোবরে করব, না হলে আমার নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নয়। ভাববাচ্যে তো অনেক কথাই বলা যায়।

অভিষেক এদিন তীব্র শ্লেষের সঙ্গে বলেন, জয় শাহ ( বিসিসিআইয়ের সচিব) কোনওদিন ব্যাট-বল হাতে ধরেনি, বিসিসিআইয়ের মাথায় বসে আছে। ওকে ওখান থেকে বের করে দেওয়া হোক। ওর বাবা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কোনও অধিকার নেই কথা বলার। এদিন পরিবারতন্ত্র ইস্যুতেও বিজেপিকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি অভিষেক। মোদি-শাহ একবার বলুন যে একটি রাজনৈতিক পরিবার থেকে একজনের বেশি কেউ রাজনীতিতে আসবে না। প্রয়োজনে বিল এনে দেখান, দেখি বিজেপির কত দম। যদি ভাবে ইডি-সিবিআই দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে শেষ করে দেবে, মাথা নত করবে তাহলে ভুল করছে। আমি অন্য ধাতুতে তৈরি, এভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের মাথা নত করা যাবে না। গলা কেটে দিলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামেই স্লোগান বেরোবে। সাফ কথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

আরও পড়ুন: নেত্রীর হুঁশিয়ারি

ইডি-সিবিআই নিয়েও বিজেপিকে এদিন তোপ দেগেছেন অভিষেক। তাঁর কথায়, আজ এখানে সভা হচ্ছে, দেখবেন চার-পাঁচদিন পর কোনও একটা ঘটনা ঘটবে। যেমন একুশে জুলাইয়ের পরদিন ঘটেছিল। এরপরই তাঁর সংযোজন, বিজেপির রাজনৈতিক ভাবে লড়াই করার ক্ষমতা নেই, হাতে চুড়ি পরে বসে আছে৷ আর ইডি-সিবিআই দিয়ে খেলছে। কী ভেবেছে, দু’জনকে গ্রেফতার করলেই তৃণমূল কংগ্রেস শেষ? ভুল ভাবছে। তৃণমূল কংগ্রেস মাথা নিচু করবে না। এদিন ছাত্র-যুবদের অভিষেক পরামর্শ দিয়েছেন মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের পাশে থাকতে। সাহায্য করতে।

Latest article