দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নয়, দুর্নীতিগ্রস্তরাই বিজেপির সবচেয়ে বড় সম্পদ। এদের পায়ের নখ থেকে মাথার চুল পর্যন্ত সবটাই দুর্নীতিতে মোড়া। এমন চাঁচাছোলা ভাষাতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তুলোধনা করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। উদাহরণস্বরূপ তুলে ধরলেন বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং সম্প্রতি এনসিপি থেকে এনডিএতে যোগ দেওয়া নেতা অজিত পাওয়ারের নাম।
শনিবার পুরুলিয়ার পঞ্চায়েতের প্রচারে গিয়ে বাঘমুণ্ডির জনসভা থেকে বিজেপিকে নিশানায় নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছিলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমি গ্যারেন্টার। আর যাদের বিরুদ্ধে ইডি, সিবিআই মামলা চালাচ্ছে সেই দুর্নীতিগ্রস্থ তোলাবাজদেরকে বিজেপিতে নিয়ে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন করছে। শুভেন্দু অধিকারীকে খবরের কাগজে মুড়ে টাকা নিতে দেখেছেন সবাই, কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা হয়েছে? গতকাল অজিত পাওয়ার এনসিপি থেকে এনডিএ-তে গিয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলছে। তাঁর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রফুল্ল প্যাটেল এনসিপির রাজ্যসভার সাংসদ, ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট যিনি একাধিক দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত। দু’দিন আগে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন এনসিপি এমন একটা দল যার বিরুদ্ধে ৭৩ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি রয়েছে। আর সেই এনসিপির ৪০ বিধায়ককে গতকাল বিজেপিতে নিয়ে মহারাষ্ট্রে সরকার গড়ছে।” এরপর জনগণের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে অভিষেক বলেন, “এমন গ্যারেন্টার আপনারা চান যারা কথা দিয়ে কথা রাখে না?”
আরও পড়ুন-রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই অনুব্রতকে গ্রেফতার! অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর
একইসঙ্গে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের তরফে মহিলাদের ২০০০ টাকার প্রতিশ্রুতির জবাব দিয়ে অভিষেক বলেন, “বিজেপি নেতারা আগে বলত লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নাকি ভিক্ষা। আর এখন বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলছেন, তাঁরা জিতলে নাকি মহিলাদের ২ হাজার টাকা করে দেবে। আমি ওনাদের জানাতে চাই, ১২ টা রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে ওরা। এতগুলো রাজ্যের মধ্যে যদি একটা রাজ্যে সব মহিলাকে ১ হাজার টাকা করে দিতে পারে, আমি এখানে দাঁড়িয়ে কথা দিচ্ছি আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব।” বিজেপির মিথ্যা প্রতিশ্রুতির হাঁড়ি ভেঙে এরপর অভিষেক বলেন, “কথা দিয়ে কথা রাখার নাম তৃণমূল, আর কথা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার নাম বিজেপি। আপনাদের বলেছিল ১৫ লাখ টাকা দেবে। দিয়েছে? বছরে ২ কোটি বেকারকে চাকরি দেবে। চাকরি হয়েছে? কৃষকের আয় নাকি ৩ গুন হবে? হয়েছে কি? কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেছেন তা করেছেন।”