এই কি তাঁর সংস্কৃতি্র নমুনা? এই কি তাঁর রুচিবোধের পরিচয়? যে জেলা বিপ্লবীদের পবিত্র মাটি, যে জেলায় সুশীল ধাড়ার মতো স্বাধীনতা সংগ্রামী জন্ম নিয়েছেন, সেই জেলারই একজন রাজনীতির মানুষের কথায় এমন অপসংস্কৃতি? রাহুল গান্ধীকে নিয়ে গদ্দারের কুরুচিকর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এমনই মনোভাব প্রকাশ করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যে মেদিনীপুর স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম পীঠস্থান, সেখানকারই একজনের এই ধরনের মন্তব্য সত্যিই খুব দুর্ভাগ্যজনক।
আরও পড়ুন- ১০ বছরে ৫,৭৮০ কোটির কাজ করেছি আরও ১০ হাজার কোটির কাজ করব: অভিষেক
রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে গদ্দারের কুরুচিকর মন্তব্যের জন্য সোমবার তাকে এক হাত নিয়েছে তৃণমূল। বিরোধীদের প্রতি সৌজন্য না দেখানো যে আসলে গদ্দারের রাজনৈতিক সংকীর্ণতা, অশিক্ষা এবং মূর্খামি, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। ওই মন্তব্যের ভিডিও টুইট করে এক্স হ্যান্ডলে পাল্টা তোপ দেগেছে তৃণমূল। গদ্দারের ওই নিম্নরুচির মন্তব্যের ভিডিও করে এক্স হ্যান্ডলে তীব্র সমালোচনা করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর মন্তব্য, এটা ভাষা? রাহুল গান্ধীকে কী ভাষায় আক্রমণ করছে গদ্দার? রাজনীতিতে এই ধরনের অসভ্যতা, অপসংস্কৃতি বন্ধ হোক। রাজ্য কংগ্রেস নেতারা বিজেপির দালালি করতে গিয়ে আর কত নিচে নামবেন যে এটাও হজম করছেন? শুভেন্দুর কুৎসিত রাজনীতি বেআব্রু হয়ে পড়ছে। এই অসুস্থ ভাষার তীব্র প্রতিবাদ করছি।রাহুল গান্ধী সম্পর্কে গদ্দারের মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে এক্স হ্যান্ডলে সরব হয়েছেন তৃণমূলের যুবনেতা তথা আইটি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য। তিনি লিখেছেন, তৃণমূলের কোনও নেতা কখনও মুখ ফসকে খারাপ কথা বলে ফেললে যারা সমালোচনার জোয়ার নিয়ে আসেন, আশা করি তারা একই রকম ভাবে এক্ষেত্রেও সমালোচনা করবেন। আশা করি, বিরোধী দলনেতা বলে ভয় পাবেন না কিংবা গুটিয়ে যাবেন না।