মুর্শিদাবাদে দাঁড়িয়ে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ। লোকসভায় ৪০ আসনে জয়। মুর্শিদাবাদের ৩টি কেন্দ্রের সব কটাতেই জয়। রবিবার, হরিহরপাড়ার জনসভা থেকে তৃণমূলের টার্গেট বেঁধে দিলেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচিতে এই এখন মুর্শিদাবাদে রয়েছেন তিনি। বিভিন্ন ব্লকে জনসংযোগ যাত্রায় কখনও রোড শো, কখনও পদযাত্রা, কখনও জনসভা বা কর্মিসভা করছেন অভিষেক। সেখানেই তৃণমূলের জয়ের লক্ষ্যমাত্রা বেধে দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
আরও পড়ুন- ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’: বেলডাঙায় উদীয়মান খেলোয়াড়দের পাশে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
ছুটিদিন মুর্শিদাবাদের একাধিক জন সংযোগ যাত্রা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সব জায়গাতেই জনজোয়ার। জনসভা থেকে অভিষেক বলেন, “২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টার্গেট ৪০ টি আসন। মুর্শিদাবাদে তিনটির মধ্যে তিনটিতেই জয় চাই।” তাঁর কথায়, মানুষকে বলতে হবে ভোট ভাগাভাগির কারণে আপনারাই বঞ্চিত হচ্ছেন।
এদিন ভগবানগোলার সভায় অভিষেক বলেন, “কেউ বলতে পারবে তৃণমূল কথা রাখেনি? প্রত্যেকটা জায়গায় পরিষেবা পৌঁছে দিয়েছে রাজ্য সরকার। ২০২১ সালে ২৫টা গ্রাম পঞ্চায়েতে হেরেছিলাম। দেখে নিন সেখানেও রাস্তা হচ্ছে। আর নরেন্দ্র মোদি সরকার বাংলায় হেরে গিয়ে বাংলার টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। মানুষকে একজোট করতে হবে। কোনও বিভ্রান্তিতে পা দেবেন না। আমরা কথা দিয়ে কথা রাখি। চোখে দেখে ভোট দিন। যতদিন মা মাটি মানুষের সরকার আছে ততদিন বাংলায় NRC হবে না।“
এরপরেই কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরীকে (Adhir Chowdhury) তীব্র আক্রমণ করেন অভিষেক। তাঁকে বিজেপির বি-টিম বলে আক্রমণ অভিষেকের। “দশকের পর দশক কংগ্রেসকে উজাড় করে দিয়েছে মুর্শিদাবাদ। বাংলার প্রাপ্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অধীর চৌধুরী একটিও চিঠি লিখেছেন দেখাতে পারলে রাজনীতি ছাড়ব”, চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তাঁর কথায়, সাংসদ অধীর চৌধুরীর নামে কখন কিছু বলেন না মোদি-শাহরা। বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদও গত পাঁচ বছরে কখনও বাংলার সমস্যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেননি।
তোপ দেগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, কংগ্রেস যখন হিমাচলে জিতল, তখন পেট্রোলের দাম কমেনি। বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ভরা ডুবি হওয়ার পরে পেট্রোল-ডিজেল, গ্যাসের দাম কমাতে বাধ্য হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কারণ, তলায় তলায় কংগ্রেস-বিজেপি আঁতাঁত রয়েছে। সেই কারণেই, এই মূল্য বৃদ্ধি ইস্যুতে একদিনও রাস্তায় নামেনি কংগ্রেস।