হলদিয়ার শ্রমিক সমাবেশে বিচারব্যবস্থা নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)। সেই নিয়ে এবার ‘সীমা লঙ্ঘন’ করার অভিযোগ করেন রাজ্যপাল। সোমবার, শ্যামনগরের জনসভা থেকে তাঁকে নিশানা করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, “রাজ্যপাল বলেছেন, আমি সীমারেখা অতিক্রম করেছি। আমি কী বলেছি? বিচারব্যবস্থায় ৯৯% খুব ভাল। কিন্তু ১ শতাংশ সরকারি আধিকারিকের কথায় কাজ করছে। আমি বিচারব্যবস্থা নিয়ে মন্তব্য করেছিলাম, উত্তর দিচ্ছেন রাজ্যপাল। মানে ঠিক জায়গায় ঢিলটা পড়েছে। মৌচাকে ঢিল পড়েছে। ঠাকুর ঘরে কে আমি তো কলা খাইনি!”
আরও পড়ুন-“ডিএম শুনতে পাচ্ছো? এগুলো কিন্তু তৃণমূল করেনি” তোপ মমতার
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা প্রশ্ন তোলেন, বিজেপির (BJP) প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) যখন কদর্য ভাষায় পুলিশ প্রশাসনকে আক্রমণ করেন তখন রাজ্যপাল নীরব কেন? বিচারব্যবস্থাকে কেউ যাদি অপমানিত করে, সেটা বিজেপি নেতা ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব করেছেন। সেই বিষয় নিয়ে রাজ্যপাল কেন কোনও মন্তব্য করেন না।
আরও পড়ুন-৫ বছর ৬ বছর পরও কাজ সম্পন্ন হয়নি, পুরুলিয়ায় গাফিলতির তালিকা দেখে ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধেও সুর চড়ান অভিষেক। বলেন, সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে একমঞ্চে ছবি বলে মদন মিত্রের ৩বছরের জেল হল। আর নীরব মোদির সঙ্গেও নরেন্দ্র মোদির ছবি দেখা গিয়েছে। তাহলে তাঁর তিনবছরের জেল হবে না কেন! একই সঙ্গে তীব্র আক্রমণ করে অভিষেক বলেন, বিধানসভা নির্বাচনে ভরা ডুবি হওয়ার পরেই তৃণমূলের তিন নেতা-মন্ত্রীকে ডাকা হয়েছিল। অথচ নারদকাণ্ডে যাঁকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল, যাঁর নামে সুদীপ্ত সেন তাঁর চিঠিতে লিখছেন যে কোটি কোটি টাকা দিয়েছেন বিজেপি সেই মস্তানকে কেন ‘ডাকা’ হল না! নাম না করে বিজেপি বিধায়ককে তুমুল আক্রমণ করেন অভিষেক।
আরও পড়ুন-‘কর্মীরাই তৃণমূলের সবচেয়ে বড় সম্পদ’ স্পষ্ট জানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
তৃণমূল সাংসদ বলেন, সুপ্রিমকোর্ট-হাইকোর্টের রায় আমাদের কাছে শিরোধার্য। সুপ্রিমকোর্টের মেরুদণ্ড সোজা তাই দেশের আইনশৃঙ্খলা বজায় হয়েছে।