বুধবার অসম সফরে গুয়াহাটিতে তৃণমূল অফিস(TMC Party Office) উদ্বোধনের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অমিত শাহকে নিশানা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhisekh Banerjee)। এদিন তিনি বলেন, ‘সিএএ-এনআরসিকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে বিজেপি(BJP)। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলায় এক কথা বলেন, অসমে এসে আরেক কথা বলেন। এই ইস্যু নিয়ে জুমলা করছে বিজেপি।’
আরও পড়ুন-স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না নিলে আইনি পথে ব্যবস্থা, স্পষ্ট করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
এদিন গুয়াহাটিতে সাংবাদিক বৈঠক থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সিএএ আইন পাশ হওয়ার পর তা স্থগিত করে রাখা হয়েছে আড়াই বছর। অমিত শাহ বাংলায় এসে বলছেন কোভিড শেষ হলে সিএএ চালু হবে। আবার অসমে এসে তিনি একটি শব্দও খরচ করছেন না। আসলে রাজনৈতিক ফায়দা নিতে এই সিএএ-কে ব্যবহার করছে ওরা। যদিও তৃণমূল এনআরসি ও সিএএ আইনের বিরোধিতা প্রথম থেকেই করে এসেছে। আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, যে একবার নাগরিকত্বের প্রমাণ দিয়েছে, যার ভোটে প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী, কাউন্সিলর নিরবাচিত হচ্ছেন তাঁকে আলাদা করে নাগরিকত্ব দেওয়ার কী আছে? অনুপ্রবেশ আটকাতে হলে তা সীমান্তে বিএসএফ আটকাক।”
এছাড়াও অসমে তৃণমূলের লক্ষ্য স্পষ্ট করে দিয়ে এদিন অভিষেক জানান, “মেঘালয়ে আমরা বিরোধী। ত্রিপুরার পুরভোটে মাত্র ৩ মাস লড়াই করে ২০ শতাংশ ভোট পেয়েছে তৃণমূল। অসমে তো প্রায় ২ বছর সময় আছে। আমাদের লক্ষ্য অসমে ১০ টি লোকসভা আসন জয় করা। আর এই আসন পেলে দিল্লির কুর্সি নড়ে যাবে।” শুধু তাই নয়, “বিজেপি সরকারকে কড়া ভাষায় তোপ দেগে অভিষেক আরও বলেন, “সিনেমার কর মুকুব করে বিজেপি সরকার জীবনদায়ী ওষুধের দাম বাড়িয়ে চলেছে। আমরা এখানে শুধু লড়াই করতে আসিনি। জনবিরোধী সরকারকে উৎখাত করতে এসেছি। যতবার যেখানে দরকার পড়বে ততবার আমি আসব। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে, চোখে চোখ রেখে লড়াই করব। এবছরেই প্রতিটি বুথে কমিটি তৈরি হবে।” পাশাপাশি এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকেই অভিষেক জানিয়ে দেন, জুন মাসে আমি আবার আসব অসমে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও আসবেন।