তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও লোকসভার সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রীর কাছে জানতে চান, মহিলাদের জন্য ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে কেন্দ্র কি কোন পরিকল্পনা নিয়েছে? যেহেতু মহিলাদের মধ্যে ডিজিটাল শিক্ষার হার কম সেক্ষেত্রে কি তাদের বাধ্য হয়ে অন্যের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে? যে কারণে মহিলারা ডিজিটাল শিক্ষাগ্রহণের ক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে পড়ছেন? এই অবস্থায় মহিলাদের অন্যের উপর নির্ভরতা কমাতে কেন্দ্র কি কোন পরিকল্পনা নিয়েছে? মহিলারা যাতে সমস্ত তথ্য নিজেরাই পেতে পারেন সেজন্য কেন্দ্র কি কোনও ব্যবস্থা নিয়েছে? ডিজিটাল শিক্ষার ক্ষেত্রে গ্রামীণ এলাকার মহিলারাও যাতে পিছিয়ে না থাকেন সেজন্য বিভিন্ন মন্ত্রকের সঙ্গে যৌথভাবে নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রক কি কোনও যুগ্ম পরিকল্পনা নিয়েছে? যদি নিয়ে থাকে তবে সেই পরিকল্পনা রূপায়ণের জন্য কি কোন নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করেছে কেন্দ্র?
আরও পড়ুন-জেরার মুখে অগ্নিমিত্রা
মহিলাদের ডিজিটাল শিক্ষার বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদের করা অতি প্রাসঙ্গিক এই সংক্রান্ত লিখিত প্রশ্নের উত্তর দেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। শুক্রবার সংসদে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ ডিজিটাল সাক্ষরতা অভিযান প্রকল্পের অন্তর্গত ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পে গ্রামীণ এলাকার প্রতিটি বাড়িতে অন্ততপক্ষে একজনকে শিক্ষিত করে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর জন্য গ্রামীণ এলাকার ছয় কোটি বাড়ি বেছে নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি বাড়ি থেকে একজনকে ডিজিটাল শিক্ষায় শিক্ষিত করা হচ্ছে। ২০২২ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে এই কাজ সম্পন্ন করা হবে।
আরও পড়ুন-ত্রিপুরায় বিজেপির পায়ের তলা থেকে জমি সরছে, দাবি কুণালের
এই কাজের জন্য গোটা দেশে দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার গ্রাম পঞ্চায়েতকে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রতিটি পঞ্চায়েতে ২০০ থেকে ৩০০ জনকে এইভাবে শিক্ষিত করে তোলা হবে। গ্রামীণ এলাকার মহিলাদের, বিশেষত সমাজের প্রান্তিক শ্রেণীর মহিলাদের শিক্ষিত করে তোলা সরকারের উদ্দেশ্য। ডিজিটাল শিক্ষায় শিক্ষিতরা সহজেই কম্পিউটার, ট্যাবলেট, স্মার্টফোন ব্যবহার করে বিভিন্ন কাজ করতে পারবেন। তাঁরা ইন্টারনেটের ব্যবহার, ইমেল পাঠানো এবং ইমেল আসলে তা দেখতে শিখবেন। ইন্টারনেট ব্যবহার করে তাঁরা সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কথা জানতে পারবেন। সরকারের যে সমস্ত প্রকল্প রয়েছে সে সম্পর্কে জানার পর তাঁরা দেশ গড়ার কাজেও হাত লাগাতে পারবেন। কেন্দ্রের দাবি, চলতি বছরের ২ অগাস্ট পর্যন্ত গোটা দেশে ৫.০১ কোটি মানুষ ডিজিটাল শিক্ষার জন্য নাম নথিভুক্ত করেছেন। যার মধ্যে ৪.২১ কোটি মানুষকে প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ ডিজিটাল সাক্ষরতা অভিযানের মাধ্যমে শিক্ষিত করে তোলা হয়েছে। এর মধ্যে ১ কোটি ৭৮ লাখ মহিলাকে শিক্ষার জন্য শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষামন্ত্রক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের মাধ্যমে ন্যাশনাল এডুকেশন নামে একটি ডিজিটাল শিক্ষা প্রকল্পের কাজ চালাচ্ছে।