আগরতলা : আবারও ত্রিপুরা সফরে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন বছরের দ্বিতীয় দিনেই শুরু হচ্ছে তাঁর ‘মিশন ত্রিপুরা’। ২০২১-এ ত্রিপুরায় পুরভোট মিটে যাওয়ার পর আবারও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে ত্রিপুরায়। এই দফায় দু’দিনের সফর তাঁর।
আরও পড়ুন-মুখে “বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও” স্লোগান দিয়েও নারী নির্যাতনে “ভারত সেরা” যোগী রাজ্য
রবিবার দিনভর একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আজ, রবিবার বেলা সাড়ে ১২টায় আগরতলার চতুর্দশ দেবতা মন্দির পরিদর্শন। সেখানেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি। পৌনে ২টোয় বড়মুড়া ইকোলজিক্যাল পার্কে আদিবাসী সম্প্রদায়ের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। তেলিয়ামুড়ার বাজার জয়নগরে দলীয় কর্মীর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারবেন দুপুর আড়াইটেতে। সন্ধে সাড়ে ৫টায় রাজধানী আগরতলার বড়দোয়ালিতে বিজেপির দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত দলীয় কর্মীর বাড়িতে যাবেন। এরপর সন্ধে ৭টা থেকে শুরু হবে স্টিয়ারিং কমিটি-সহ দলের বিভিন্ন বৈঠক।
আরও পড়ুন-সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের ২৫তম প্রতিষ্ঠাদিবস, উত্তর থেকে দক্ষিণ উৎসবমুখর
ত্রিপুরায় পুরভোটে তৃণমূল কংগ্রেস ২৪% ভোট পেয়েছে। মাত্র তিনমাসে একেবারে শূন্য থেকে এই অবস্থানে উঠে এসেছে। সকলেই দেখেছেন পুরভোটের আগে ত্রিপুরায় সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করেছিল রাজ্যের বিজেপি সরকার। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের আটকাতে প্রচার করতে না দেওয়া, অপহরণ, মারধর, বাড়ি ভাঙচুর, মামলা, জেল কোনওটাই বাদ যায়নি। কলকাতা থেকে যাওয়া তৃণমূল নেতা-নেত্রীরাও ছাড় পাননি। মারধর, গাড়ি ভাঙচুর এবং বিভিন্ন থানায় তাঁদের নামে মামলা করা হয়েছে। বারবার দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের সভা বাতিল করা হয়েছে। ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে যাওয়ার পথে একাধিক জায়গায় তাঁর কনভয়ে আক্রমণ হয়েছে। গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। তবু আটকানো যায়নি তৃণমূল কংগ্রেসকে। পুরভোটে ভোট লুঠ হয়েছে। পুলিশ, নির্বাচন কমিশন নীরব দর্শক হয়ে থেকেছে। এসব সত্ত্বেও তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট ২৪% পেরিয়ে যায়।
আরও পড়ুন-সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের ২৫তম প্রতিষ্ঠাদিবস, উত্তর থেকে দক্ষিণ উৎসবমুখর
২০২৩ এ ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই সাংগঠনিক দিক থেকে যথেষ্ট শক্তিশালী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। জেলায় জেলায় ছড়িয়ে পড়ছেন নেতা-কর্মীরা। সংগঠনকে আরও মজবুত করে ত্রিপুরায় দলকে দিশা নির্ধারণের পাশাপাশি রাজ্যবাসীকে অভিষেক স্পষ্ট বার্তা দিতে চান, তৃণমূল কংগ্রেস শুধু ভোট নিয়ে চলে যায় না, মানুষের পাশে থাকে ভোট-সন্ত্রাসে হেরে যাওয়ার পরেও। ভোটে জিতে মানুষের কাজ করাই লক্ষ্য। তৃণমূল সেই লক্ষ্য পূরণ করবেই।