প্রতিবেদন : অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে এবার খাবি খাওয়া শুরু করল বাংলার গদ্দার অধিকারী। শুরু হয়েছিল দুপুরে একটি উদ্দ্যেশ্যপ্রণোদিত প্রেস বিবৃতি নিয়ে। সেই প্রেস বিবৃতি ট্যুইট করতেই তোপের মুখে পড়ে গদ্দার। বুঝতে পারেনি আক্রমণটা মারাত্মক হবে। নারদায় প্রকাশ্য ক্যামেরায় হাত পেতে টাকা নেওয়া গদ্দারের ছবি সারা বাংলা দেখেছে। সেই ছবি প্রকাশ্যে এনে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের ছোট্ট কটাক্ষ, যিনি এভাবে ক্যামেরার সামনে টাকা নিয়েছেন তিনি কবে ইডি অফিসে যাবেন? খোঁচা দিতে গিয়ে বিস্তর বিপাকে দলবদলু সুবিধাবাদী। কিন্তু রাত বাড়তেই নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনে কাঁথির নেতা।
আরও পড়ুন-এবার শিল্প সম্মেলনে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পই আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু
সিবিআইয়ের এফআইআরে নাম থাকা গদ্দার নিজের টাকা নেওয়ার কথা এড়িয়ে গিয়ে অন্য প্রশ্ন করতেই অভিষেকের সরাসরি চ্যালেঞ্জ এবং বিধ্বংসী ট্যুইট, এতো প্রশ্নের কী আছে? সাহস থাকলে জায়গা ও সময় ঠিক করো। দু’জনে মুখোমুখি বসব। সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যাবে। অভিষেক মনে করিয়ে দেন, সঙ্গে অডিও এক্সপার্টও থাকবেন। কেন? কয়লাকাণ্ডে অভিযুক্ত একজনের সঙ্গে গদ্দারের দুটি টেলি-কথাবার্তার ভয়েস রেকর্ডও দেওয়া হবে এক্সপার্টকে। উনি পরীক্ষা করবেন। জানাবেন কে এই মহান ব্যক্তি, যে কয়লা মাফিয়ার সঙ্গে সেটিং নিয়ে আলোচনা করছে। প্রয়োজনে সেই অডিও ক্লিপিং নিয়ে আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতির কথাও জানিয়ে অভিষেক বলছেন, একটু ধৈর্য্য ধরো। তাহলে দুধ কা দুধ, পানি কা পানি হয়ে যাবে। সুর চড়িয়ে অভিষেক বলেছেন, সিবিআই-ইডির হাত থেকে বাঁচার জন্য বাংলার নির্লজ্জ গদ্দার বাবা-ভাইকেও দর কষকষির বোড়ে হিসেবে ব্যবহার করেছে। তার মুখে আর যাই হোক পারিবারিক সম্পর্কের পবিত্রতার কথা মানায় না।
আরও পড়ুন-রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের এলাকায় এখনই চালু হচ্ছে না মাসিক বিলের ব্যবস্থা, জানালেন বিদ্যুৎমন্ত্রী
অভিষেকের পাশাপাশি আরও চড়া ভাষায় নারদা-সারদায় অভিযুক্ত একহাত নিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। বলেন, পুরোটাই বিজেপির দেউলিয়াপনা ও প্রতিহিংসা রাজনীতির একটি অঙ্গ। কুণালের প্রশ্ন, ক্যামেরার সামনে ঘুষ নিতে দেখা গিয়েছে গদ্দারকে। সিবিআই তার নামে এফআইআর করেছে। তার কাছে কেন সিবিআই যায় না? দল বদলে বিজেপিতে গিয়েছে বলে? কুণালের দ্বিতীয় প্রশ্ন, এই যে কোনও বাড়িতে বা অফিসে তল্লাশি হয়। তল্লাশি শেষে কি পাওয়া গেল সেটা তো মানুষকে জানানো উচিত। তা না করে নাম জড়িয়ে দিয়ে নোংরা রাজনীতির খেলা। যখন টাকা বা সোনা পাওয়া গিয়েছে, তখন সেকি প্রচারের ধুম! এবার তাহলে প্রচার করতে অসুবিধা কোথায়?