প্রতিবেদন : বাংলায় অটুট উন্নয়নের ধারা। উন্নয়নকে মডেল করেই নজির গড়েছে ডায়মন্ড হারবারও। রাজ্য সরকার একের পর এক জনমুখী প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। রাস্তা, আলো, জল সরবরাহ থেকে শিল্প, কর্মসংস্থান— কোথাও কোনও খামতি রাখেনি রাজ্য। ডায়মন্ড হারবার সংসদীয় এলাকাতেও প্রচুর কাজ হয়েছে, যা দেশে নজিরবিহীন। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েও যদি কোথাও কিছু মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের উপর অসন্তুষ্ট হন, তাহলে ধরে নিতে হবে সেখানকার নেতৃত্ব বা কর্মীদের কাজে কোনও খামতি আছে। তাই মানুষের কাছে যেতে হবে, তাদের কথা শুনতে হবে এবং সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি যাওয়ার সময় সঙ্গে থাকবেন বিজেপি থেকে আসা নেতা-কর্মীরা। তাঁরাই বলবেন কেন বিজেপি ছেড়েছেন। কেন বিজেপিতে থাকা যায় না। তৃণমূল কংগ্রেসই মানুষের পাশে থাকে। নিজের সংসদীয় এলাকা ডায়মন্ড হারবারে দলের প্রথম অভ্যন্তরীণ বৈঠকে এ-কথাই স্পষ্ট ভাষায় জানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রচারের রূপরেখা তৈরি করে দেন, তৈরি করে দেন আগামীর রণকৌশল। কর্মীদের উদ্দেশে অভিষেকের বার্তা, বিজেপি বা অন্য দল ছেড়ে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের সাথে নিয়ে বাড়ি বাড়ি যান। বোঝান, তাঁরা কেন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে এসেছেন। যেসব বুথে ভোট কম পড়েছে, সেই বুথে বেশি করে নজর দিন। ডায়মন্ড হারবারে বার্ধক্যভাতা-সহ স্পেশাল যে-সমস্ত কাজ করা হয়েছে, তার প্রচার করুন।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
অভিষেকের সাফ কথা, বিরুদ্ধ প্রার্থী যিনিই হোন না কেন, আমাদের কিছু যায় আসে না। আমাদের দল উন্নয়নের পথে রয়েছে, তাই প্রচারে উন্নয়নের কথাই তাঁরা বলবেন। এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিগত লোকসভা ও বিধানসভা ভোটের পরিসংখ্যান নিয়ে পর্যালোচনা করে কোথায় কোথায় বিশেষ নজর দিতে হবে তা স্পষ্ট করে দেন। ২৭ থেকে ২৯ মার্চ পর্যন্ত ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বিধানসভাওয়াড়ি পর্যালোচনা করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইমতো বুধবার আমতলার তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে ডায়মন্ড হারবার এবং ফলতা বিধানসভার নেতৃত্বদের নিয়ে অভ্যন্তরীণ বৈঠক করেন তিনি। তিনি পরামর্শ দেন, মানুষের মনের কথা বুঝতে হবে। এলাকার মানুষ কী চাইছেন, সেগুলোকে নোট ডাউন করতে হবে। আগামী দিনে সেই কাজগুলিকে প্রাধান্য দিতে হবে। করোনার সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, বার্ধক্যভাতা প্রদান করেছিলেন, রাজ্য একশো দিনের কাজের কর্মীদের বকেয়া মিটিয়েছে— সমস্ত উন্নয়ন বার্তা তুলে ধরতে হবে প্রচারে। ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ থেকে ফলতা পানীয় জল প্রকল্প, রাস্তাঘাট, পার্ক-সহ নানাবিধ উন্নয়ন হয়েছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী থেকে রূপশ্রী-সহ সমস্ত জনকল্যাণ প্রকল্পের কথা মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করতে হবে।