আগরতলা : আগামী ৩১ অক্টোবর তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষিত সফরকে কেন্দ্র করে শুধু আগরতলা নয়, গোটা ত্রিপুরা উৎসাহিত হয়ে উঠেছে। রবীন্দ্রভবনের সামনে জনসভা করবেন তিনি। সভা বিরাট চেহারা নেবে। যেহেতু সামনে পুরভোট, তাই সভার আলাদা মাত্রা থাকছে। যদিও তৃণমূল স্পষ্ট বলেছে, অনেক আগেই অভিষেকের আসার কথা ছিল। তাঁকে ভয় পেয়ে বিজেপি এবং তাদের সরকার ছলে বলে কৌশলে নানা পদ্ধতি অবলম্বন করে সফর আটকেছে। আইনের অপপ্রয়োগ করা হয়েছে। ১৪৪ ধারা জারি রাখা হয়েছিল। ফলে অভিষেক আগে আসতে পারেননি। এখন ঘটনাচক্রে পুরভোট ঘোষিত। অভিষেক গোটা ত্রিপুরার মানুষের কাছে বিজেপির অপশাসনের অবসান ঘটিয়ে রাজ্যকে নতুন করে গড়ে তোলার রূপরেখা পেশ করবেন।
আরও পড়ুন : শুনানি চলবে, জামিন না মেলায় জেলেই শাহরুখপুত্র
এদিকে অভিষেকের সভা এবং আসন্ন পুরভোটের প্রস্তুতি নিয়ে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার দুপুরে জরুরি বৈঠকে বসে স্টিয়ারিং কমিটি। অন্য জেলার কর্মসূচির জন্য যাঁরা আসতে পারেননি, তাঁদের সঙ্গে ফোনে কথা হয়। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘সর্বত্র প্রচার শুরু হয়েছে। আতঙ্কে বাধা দিচ্ছে বিজেপি। পুলিশ দর্শক। তবে এইবার কোনও অবস্থায় আমাদের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের সফর তারা ঠেকাতে পারবে না। ত্রিপুরার মানুষ তাঁকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।’’ সাংসদ সুস্মিতা দেব, স্টিয়ারিং কমিটির আহ্বায়ক সুবল ভৌমিক, আশিসলাল সিং, প্রকাশ দাস, তাপস রায়, শর্মিষ্ঠা দেবনাথ, যুবনেতা বাপটু চক্রবর্তী, শান্তনু সাহা-সহ প্রত্যেকে কোমর বেঁধে নেমেছেন। এদিন বৈঠকে ঠিক হয়েছে পুরভোটে তৃণমূল কংগ্রেস লড়াই করবে। প্রার্থী দেবে। সম্ভবত ১ নভেম্বর থেকে মনোনয়ন পেশ শুরু করবে দল। তবে বিজেপি অবাধ ভোট আটকাতে মনোনয়নপর্ব থেকেই চক্রান্তের পথে যাবে। সেইমতো রণকৌশল ঠিক করছে তৃণমূল। দলের বক্তব্য, মানুষের সমর্থন নিজেদের পাশে নেই বুঝেই মরিয়া হয়ে তৃণমূলের রাজনৈতিক কর্মসূচি ভন্ডুল করতে নেমেছে বিজেপি। চালানো হচ্ছে হামলা।