প্রতিবেদন : বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রতিবাদে দিল্লিতে তৃণমূলের আন্দোলনে অংশ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করলেন বাঁকুড়ার সদ্য সন্তানহারা ৩ পিতা। আবেদনে সাড়া দিয়ে তাঁদের সঙ্গে নিয়ে রবিবার দিল্লি পৌঁছলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার বিষ্ণুপুরের বরামরা গ্রামে মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে প্রাণ হারায় ৩ শিশু রোহন সর্দার(৫), নিশা সর্দার(৪) এবং অঙ্কুশ সর্দার(৩)।
আরও পড়ুন-আজ রাজঘাটে ধরনা, মঙ্গলের সূচি নিয়ে বৈঠক
ওই শিশুদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য শনিবার রাতেই রাজ্যসভার সাংসদ ডাঃ শান্তনু সেনকে নির্দেশ দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার ভোরেই কলকাতা থেকে সড়কপথে বিষ্ণুপুর রওনা হয়ে যান শান্তনু সেন। বাঁকাদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের বরামরা গ্রামে পাশাপাশি বাস ওই ৩ শিশুর পরিবারের। তাদের বাড়িতে গিয়ে ৩টি পরিবারের হাতে দলের পক্ষ থেকে তুলে দেন আর্থিক সাহায্য। সান্ত্বনা দেন বাবা-মা এবং প্রিয়জনদের। সাংসদকে তাঁরা বলেন, দেখবেন, আর কোনও বাবা-মায়ের কোল যেন এভাবে খালি না হয়। লক্ষণীয়, তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও আবাস যোজনার টাকা পায়নি এই ৩টি পরিবার। ফলে মাটির বাড়িকে পাকা বাড়িতে রূপান্তরিত করার সুযোগও পাননি তাঁরা। বাংলার বঞ্চিত ১১ লক্ষ মানুষের মতোই কেন্দ্রের নির্মম আচরণের শিকার তাঁরাও।
আরও পড়ুন-রক্ষকই ভক্ষক, পুলিশের হাতে হেনস্থার শিকার যুগল
শান্তনুবাবুকে ৩ শিশুরই বাবারা বলেন, তাঁরা দিল্লি গিয়ে এই বঞ্চনার প্রতিবাদ জানাতে চান। শান্তনুবাবু রোহনের বাবা জয়দেব সর্দার, নিশার বাবা প্রশান্ত সর্দার এবং অঙ্কুশের বাবা চণ্ডী সর্দার এবং কাকা ভক্ত সর্দারকে নিয়ে সরাসরি চলে আসেন কালীঘাটে অভিষেকের বাড়িতে। তাঁদের সঙ্গে একান্তে কথা বলেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। দিল্লি গিয়ে আন্দোলনে অংশ নেওয়ার ইচ্ছার কথা জানান চারজনেই। দুপুরেই তাঁদের সঙ্গে নিয়ে বিমানে দিল্লি রওনা হন অভিষেক। সন্ধ্যায় দিল্লি পৌঁছে শান্তনুবাবু জানান, ৪ অভিভাবকই সোমবার তাঁদের সঙ্গে রাজঘাটে উপস্থিত থাকবেন। মঙ্গলবার অংশ নেবেন যন্তরমন্তরের ধরনায়।