প্রতিবেদন : ইন্ডিয়া জোটের ভার্চুয়াল বৈঠকে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোলা এসআইআর নিয়ে সোচ্চার হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে তিনি সরব হয়েছেন ইটু (ই-স্কোয়্যার) নিয়ে। অভিষেক বলেন, দেশ থেকে বিরোধী দলগুলিকে মুছে ফেলতে ইটুর মাধ্যমে চক্রান্ত চালাচ্ছে বিজেপি। ইডিকে ব্যবহার করা হচ্ছে বিরোধীদের জন্য। আর ইসিকে (ইলেকশন কমিশন) ব্যবহার করা হচ্ছে ভোটারদের জন্য। ভোটার তালিকায় কারচুপি প্রথম ধরেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এখন নয়, সেই মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের চার মাস পরেই তৃণমূল বলে দিয়েছিল, ৪০ লক্ষ ভুয়ো ভোটারের মাধ্যমে সেখানে জিতেছে বিজেপি। একই চেষ্টা বিহারেও।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
শনিবারের ২৪ দলের এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মূলত পাঁচটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। তার মধ্যে অন্যতম অপারেশন সিঁদুর ও পরবর্তী বিদেশ নীতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতা, ভোটার তালিকা সংশোধনের নামে কীভাবে ঘুরপথে বিজেপি সরকার এনআরসি করছে তা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। ভোটার তালিকা সংশোধনী নিয়ে কেন্দ্রের বিবৃতি দাবির পাশাপাশি অপারেশন সিঁদুর নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ড ডোনাল্ড ট্রাম্পের একের পর এক দাবির পরেও কেন প্রধানমন্ত্রী চুপ করে রয়েছেন ইন্ডিয়া জোটের তরফে তাও জানতে চাওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির দাবিতে ২৪ দলের তরফে সোচ্চার হওয়ার পক্ষে সহমত হয়েছেন জোট শরিকরা। এছাড়াও বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতে যেভাবে মহিলা, শিশু ও দলিতদের ওপর আক্রমণ-নির্যাতন হচ্ছে এ-বিষয়েও সরকারকে চেপে ধরার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এদিন ভার্চুয়াল বৈঠক হলেও কিছুদিনের মধ্যেই ইন্ডিয়া জোটের শীর্ষনেতৃত্ব মুখোমুখি বৈঠকে বসবেন বলেই জানা গিয়েছে।
২৪টি দলের জোট শরিকদের এই বৈঠকে তিনি বলেন, গোয়েন্দা ব্যর্থতার জন্যই পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা ঘটেছে। এর পরেও কেন গোয়েন্দা প্রধানের চাকরির মেয়াদ বাড়ানো হল? এর পিছনে কোন বাধ্যবাধকতা কাজ করেছে? পেগাসাস নিয়ে দেশে কম হইচই হয়নি। অথচ কার্যক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে পেগাসাস কেন্দ্রীয় সরকার ব্যবহার করেছে বিরোধী দলগুলিকে হেনস্থা করার জন্য। অথচ যা ব্যবহার করা যেত জঙ্গি-দমনে। সাফ কথা অভিষেকের। গত ১০-১২ বছরে দেশে বিদেশনীতি তলানিতে ঠেকেছে। অত্যন্ত খারাপ অবস্থায় রয়েছে বিদেশনীতি। অভিষেক প্রশ্ন তুলেছেন, পহেলগাঁওয়ের ঘটনায় অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথ-ইস্ট এশিয়ান নেশনসের (এশিয়ান) তরফে একজনও পাকিস্তানের নাম করে পহেলগাঁওয়ের ঘটনায় নিন্দায় সরব হলেন না।
দেশের কী দুরবস্থা যে, দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে দেশবাসীকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামাজিক মাধ্যমে।
যাতে এই সংক্রান্ত বিষয়ে মানুষ তথ্য পেতে পারেন। অথচ যা দেওয়ার কথা কেন্দ্রের। কিন্তু তারা দুর্ভাগ্যজনকভাবে দেশবাসীকে অন্ধকারে রেখেছেন। পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পর কেন্দ্রীয় সরকার সাংসদদের প্রতিনিধি দল পাঠালেন বিভিন্ন দেশে। এতে কোন ভাল কাজটা হয়েছে? কতগুলো দেশ আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে? প্রশ্ন অভিষেকের। আমাদের দেশের জনগণকে এ বিষয়ে জানানোর বদলে সাংসদদের পাঠানো হয়েছে বাছাই করে বিদেশের মানুষকে জানানোর জন্য। মোদি সরকার ভারতবাসীকে অন্ধকারেই রেখেছে।