মণীশ কীর্তনিয়া: বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস একেই বলে। ৭ নভেম্বর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিনকে কেন্দ্র করে প্রতি বছরের মতো এবারও শুভেচ্ছা ও আবেগের বন্যায় ভাসল কালীঘাট। বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা জানাতে শুরু করেছিলেন সকলে। সকাল হতে তা বাড়তে থাকে। দুপুর হতে না হতেই কালীঘাটে অভিষেকের বাড়ির সামনে ভিড় জমাতে থাকেন দলের হাজার হাজার কর্মী-সমর্থক। কলকাতা তো বটেই, জেলা থেকেও বহু নেতা-কর্মী-সমর্থকরা এসেছেন। প্রায় সকলেই কিছু না কিছু উপহার নিয়ে এসেছেন। ফুলের বোকে থেকে পোস্টার-ব্যানার, এমনকী প্রমাণ সাইজের বোর্ডে অভিষেকের সঙ্গে মেয়ে আজানিয়ার ছবি এঁকে এনেছিলেন ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের একদল কর্মী। তাতে লেখা রয়েছে ‘পিপলস লিডার’(জননেতা)। সেই ছবি সযত্নে রাখা হল।
আরও পড়ুন-দুর্নীতি, ১৭৮ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কালো তালিকায়
দফায় দফায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে জনগণের ভিড়ে মিশে গিয়েছেন তিনি। একের পর এক কেক কেটেছেন। সেলফির আবদারও মিটিয়েছেন। দুপুর-বিকেল গড়িয়ে যত সন্ধ্যা নেমেছে ততই বাড়ির সামনে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসও সমানে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে। টানা বেজে চলেছে ধামসা-মাদল। সঙ্গে তুমুল স্লোগান। সন্ধ্যায় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে তাঁর কাছে যান দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক৷ তাঁর আগে আচমকা গাড়ির মাথায় উঠে পড়লেন তিনি। হাত নাড়িয়ে, নমস্কার করে অভিবাদন জানালেন হাজার হাজার অপেক্ষমাণ জনগণকে। এরপরই এল সেই সিগনেচার হাত মুঠো করা আত্মবিশ্বাসী ছবি। সমুদ্রগর্জনে স্লোগান উঠল— জয় বাংলা। তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও জনতার সঙ্গে গলা মিলিয়ে বললেন— জয় বাংলা। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে ফেরার পথে ফের একবার জনতার আবদার মেটালেন। দেদার ছবি-সেলফি উঠল। কেক কাটা চলল। সব মিলিয়ে জন্মদিনে ধরা দিলেন জননেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন ছাত্র-যুব তো বটেই, ভিড়ের মধ্যে মহিলাদের সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো।

