প্রতিবেদন : মঙ্গলবারও জোড়া সাংগঠনিক বৈঠক করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমে কলকাতায় হুগলির শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা, তারপর মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। ছিলেন রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। এদিন বৈঠক শেষে শ্রীরামপুর সাংগঠনিক সভাপতি অরিন্দম গুঁই বলেন, বৈঠকে বলা হয়েছে, আগামী দিনে আমাদের মানবিক মুখ্যমন্ত্রী মানুষের জন্য যে উন্নয়নমূলক কাজ করে চলেছেন সেগুলো বেশি করে আরও মানুষের কাছে জানানো হবে। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ যে কর্মসূচি আমাদের চলছে সেটাকে আরও বেশি জোর দিয়ে মানুষের সমস্যার কথা জেনে সেগুলো সমাধানের দ্রুত ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও বিজেপি-শাসিত রাজ্যেগুলিতে যেভাবে বাঙালিদের উপর অত্যাচার হচ্ছে সেই নিয়ে আগামী দিনে আরও বেশি করে সাধারণ মানুষকে নিয়ে প্রতিবাদ-কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। একই কথা প্রযোজ্য মেদিনীপুর সাংগঠিনিক জেলার ক্ষেত্রেও।
আরও পড়ুন-পলিসিস্টিক ওভারি
দুই জেলা নেতৃত্বকেই দলের নির্দেশ, প্রত্যেক এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বকে মানুষের কাছে আরও বেশি করে পৌঁছাতে হবে। তাঁর নির্দেশ, আগামী দিনে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করে সবাইকে একসঙ্গে থেকে বিরোধীদের মোকাবিলা করতে হবে। আগামী দিনে যদি সংগঠনের কোনও রদবদল শীর্ষ নেতৃত্ব করে সেটা সবাইকে মেনে নিয়ে কাজ করতে হবে। আর নেত্রীর নির্দেশেই সমস্তটা হবে।
এছাড়াও বৈঠকে মূলত মানুষের কাজকেই বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আর মানুষের কাছে বেশি করে গিয়ে সমস্ত কাজের কথা তুলে ধরতে হবে। আর সামনেই বিধানসভা ভোট, আগামী দিনে আমাদের লক্ষ্য এই শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার অন্তর্গত সমস্ত বিধানসভা জিততে হবে ব্যাপক ব্যবধানে। এদিনের বৈঠকে শ্রীরামপুর সাংগঠনিক তৃণমূলের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী, মন্ত্রী বেচারাম মান্না, জেলা সভাপতি অরিন্দম গুঁই, যুব সভাপতি প্রিয়াঙ্কা অধিকারী, মহিলা সভানেত্রী মৌসুমী বসু চট্টোপাধ্যায় এবং সব বিধায়ক।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
অভিষেক স্পষ্ট জানিয়ে দেন, প্রত্যেকের রিপোর্ট কার্ড তৈরি হয়েছে, সেই অনুপাতে দলের কিছু কিছু জায়গায় পরিবর্তন করা হতে পারে। সকলকে সংগঠনে জোর দিতে হবে। আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধানে জোর দিতে হবে। কেশিয়াড়ি এবং শালবনী নিয়ে বিধায়করা অভিযোগ জানালে অসন্তোষ প্রকাশ করেন অভিষেক। দলের নিয়মশৃঙ্খলা মেনে কাজ করার নির্দেশ দেন তিনি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুজয় হাজরা, যুব সভাপতি নির্মাল্য চক্রবর্তী, মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো, বিধায়ক উত্তরা সিংহ হাজরা, বিক্রমচন্দ্র প্রধান-সহ অন্যরা।