প্রতিবেদন : ফের জোড়া সাংগঠনিক বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার প্রথমে বনগাঁ ও দ্বিতীয়ার্ধে দমদম-ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। বনগাঁ সাংগঠনিক জেলায় বিশাল অংকের মতুয়া ভোট রয়েছে। ঠাকুরবাড়ির সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পর্ক বরাবরই ভাল। তবে এই সাংগঠনিক জেলায় প্রভূত উন্নয়ন সত্ত্বেও বিজেপির ভোট কেন বেড়েছে তা নিয়ে বৈঠকে চর্চা হয়েছে। যেসব জায়গায় বিজেপির ভোট বেড়েছে সেখানে আরও বেশি করে দলের নেতৃত্বকে সময় ও নজর দিতে বলা হয়েছে। নিজেদের মধ্যে সদ্ভাব বজায় রেখে একসঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজের নির্দেশ দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। দুই জেলার নেতৃত্বকেই তাঁরা বলেন, মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়াতে হবে। বেশি করে মানুষের সঙ্গে মিশতে হবে। তাঁদের অভাব-অভিযোগের কথা শুনে তার সমাধানের চেষ্টা করতে হবে।
আরও পড়ুন-১২ তম নথি হিসেবে SIR মামলায় প্রামাণ্য নথি হিসাবে আধার অন্তর্ভুক্তির নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
এদিন, বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ তথা চেয়ারম্যান মমতা ঠাকুর, সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস, মহিলা সভানেত্রী ইলা বাগচী, যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সব্যসাচী ভট্ট, বিধায়ক বীণা মণ্ডল ও মধুপর্ণা ঠাকুর-সহ অন্যরা।
এদিন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দেন সব সরকারি প্রকল্পের সুবিধা মানুষ পাচ্ছেন কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ ক্যাম্পগুলিতে সকলকে যেতে হবে। মানুষ তার অভিযোগ ঠিকঠাক করতে পারছে কিনা সেটা দেখতে হবে। বাংলা ও বাঙালিদের উপর যে অত্যাচার চলছে তার বিরুদ্ধে প্রচার, সভা ও মানুষের দুয়ারে গিয়ে বোঝাতে হবে। কেন্দ্রের বঞ্চনা তুলে ধরতে হবে। দলের ভিতরে পরিবর্তন ও পরিমার্জন যা হবে তা দল সিদ্ধান্ত নেবে। আপনাদের সকলে মিলে কাজ করে দলকে শক্তিশালী করতে হবে। সেই সঙ্গে দলীয় কিছু কর্মসূচিও তিনি দিয়ে দেন। এদিন বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা নিয়ে বিশেষ বার্তা দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই সাংগঠনিক জেলায় বনগাঁ উত্তর, দক্ষিণ ও গাইঘাটা বিধানসভা বিজেপির দখলে। ওই তিনটি বিধানসভা পুনরুদ্ধারের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ দেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণত সম্পাদক।