কোন্দলে জেরবার কংগ্রেস, প্রশ্নে নেতৃত্ব

পাঞ্জাবের পর এবার মাথাব্যথা ছত্তিশগড়, জোরালো হচ্ছে স্থায়ী সভাপতির দাবি

Must read

পূর্ণেন্দু রায়, নয়াদিল্লি : কানহাইয়া কুমার, জিগনেশ মেহভানিরা কংগ্রেসে যোগ দিলেও শতাব্দীপ্রাচীন দলটি আর ঘুরে দাঁড়াতে পারবে কি না তা নিয়ে সংশয় ক্রমশ আকাশ ছুঁতে চলেছে। পাঞ্জাবে দলীয় কোন্দল কিছুতেই মিটতে চাইছে না। এরই মধ্যে ছত্তিশগড়ের বিধায়করা আবার দলে দলে দিল্লি আসতে শুরু করেছেন কংগ্রেস হাইকমান্ডের কাছে নিজেদের ক্ষোভ জানাতে। গোদের ওপর বিষফোড়া, দলের প্রবীণ নেতা গুলাম নবি আজাদ, কপিল সিব্বলদের গোষ্ঠী বুধবার রাতে কংগ্রেসের অস্থায়ী সভাপতি সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে দলের খোলনলচে বদলের দাবির পাশাপাশি স্থায়ী সভাপতি নির্বাচনের দাবি তুলেছেন। অন্যদিকে, পাঞ্জাবের সদ্যপ্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র সঙ্গে বৈঠকের পর বৃহস্পতিবার দেখা করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে। এই সাক্ষাৎপর্ব ঘিরে চাঞ্চল্য রাজধানীতে। ক্যাপ্টেন জানিয়ে দিয়েছেন, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে যেভাবে অপমান করে তাঁকে অপসারণ করেছেন রাহুল-প্রিয়াঙ্কারা, তাতে ওই দলে তাঁর পক্ষে থাকা আর সম্ভব নয়। এদিকে যে নভজ্যোত সিং সিধুর বায়নাক্কা সামলাতে গিয়ে ভোটের মুখে মুখ্যমন্ত্রী বদল করল কংগ্রেস, সেই সিধুও একেকবার একেকরকম সিদ্ধান্ত নিয়ে দলকে বিপাকে ফেলছেন। মঙ্গলবার পাঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন সিধু। ফের চাপের মুখে বৃহস্পতিবার সভাপতি পদে থেকে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। বিধানসভা ভোটের মুখে খোদ দলের সাংগঠনিক প্রধানের এইরকম খামখেয়ালিপনায় কংগ্রেসে বিড়ম্বনা মাত্রাছাড়া।

আরও পড়ুন: জলমগ্ন বাঁকুড়ায় বিস্তীর্ণ অঞ্চল, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

পাঞ্জাবের পাশাপাশি ছত্তিশগড়ে ক্ষমতাসীন কংগ্রেসের এক ডজনেরও বেশি বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রী বদলের দাবি নিয়ে আবার দিল্লিতে পৌঁছেছেন। জাতীয় রাজধানীতে কংগ্রেস বিধায়কদের সফর সে রাজ্যে রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়িয়েছে। ছত্তিশগড়ে ভূপেশ বাঘেল সরকারের আড়াই বছর পূর্ণ হওয়ার পর থেকে আগামী আড়াই বছরের জন্য অন্য আরেকজনকে মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসানো নিয়ে আলোচনা চলছে। বিধায়কদের দিল্লি সফরের বিষয়ে রাজ্যে জল্পনা, এই বিধায়করা মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের প্রতি সমর্থন জানাতেই রাজধানী পৌঁছেছেন। সফরকারী বিধায়ক বৃহস্পত সিং বলেন, ছত্তিশগড়ের পরিস্থিতিকে পাঞ্জাবের সঙ্গে মেলালে চলবে না। কোনও দলের হাইকমান্ড শুধু একজন নেতাকে খুশি করার জন্য পুরো সরকারকেই ঝুঁকিতে ফেলবে না তা বোঝা উচিত।

আরও পড়ুন: ‘জাগো’ অনুদান ৪৩১৯২টি, মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ছত্তিশগড়ে কংগ্রেস সরকার গঠনের পর থেকে মুখ্যমন্ত্রী বাঘেল এবং দলে তাঁর মূল প্রতিপক্ষ টি এস সিংদেও-এর মধ্যে সম্পর্ক মসৃণ ছিল না। ২০২১ সালের জুনে বাঘেলের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আড়াই বছর পূর্ণ হওয়ার পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী টি এস সিংহদেও’র শিবির দাবি করেছিল যে হাইকমান্ড আড়াই বছর পরে মুখ্যমন্ত্রী বদল করবে। অথচ এখন তা কার্যকর করা হচ্ছে না।

Latest article