আবুল বাশার —
এবারের পুজোয় (Durga Puja 2022) ছোট লেখাই বেশি লিখেছি। বেশিরভাগই গল্প। লিখেছি বিচিত্র ধরনের লেখা। বড় গল্প লিখেছি একজন অন্ধ মানুষকে নিয়ে। এমন একজন অন্ধ, যে কুয়োতে পড়ে যাওয়া জিনিসপত্র তুলে আনে। তার লড়াইয়ের গল্প ‘অন্ধ জ্যোতির্ময়’। আমি এখন মাঝে মাঝেই লিখছি এইধরনের লুপ্ত জীবিকাগুলো নিয়ে। আরেকটি গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র ইঁদুর। এই ইঁদুর প্রায় মানুষের সমকক্ষ। গল্পের নাম ‘কাঁশি’।
এ-ছাড়াও বোরখা নিয়ে লিখেছি একটি বড় গল্প। গল্পের নামও ‘বোরখা’। আর একটি গল্পের বিষয়বস্তু হিন্দু-মুসলমানের সংস্কার। গল্পের নাম ‘বিষ’। ‘চিহ্ন’ নামে একটি গল্প লিখেছি।
এই গল্পে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি ধর্ম-অধর্মের সমস্যা। যার মধ্যে মিশে আছে প্রেম। ধর্ম প্রেমকে বিপদগামী করে কিনা, যদি করে, কী সমস্যা হতে পারে, অথবা প্রেমই আবার মানুষকে রক্ষা করে কিনা, এই হল বিষয়বস্তু। এখনকার ভারতবর্ষকে তুলে ধরার জন্য বেশকিছু গল্পে রূপকের আশ্রয় নিতে হয়েছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষকদের শিক্ষক
অমর মিত্র —
এই বছর বেশ কয়েকটা উপন্যাস লিখেছি। পাশাপাশি লিখেছি নভেলেট এবং কয়েকটা গল্প। থ্রিলার লিখি না। আমার বেশিরভাগই সামাজিক লেখা। ছোটদের জন্য লিখেছি একটি মজার উপন্যাস ‘চৈতল বাঘের গন্ধ’। চার দশকের বেশি সময় ধরে পুজো (Durga Puja 2022) সংখ্যায় লেখার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছি। প্রথমদিকে লিখতাম একটা-দুটো গল্প। পুজো সংখ্যায় উপন্যাস লিখেছি অনেক পরে। মোটামুটি গত দশ-এগারো বছর। আমার বেশ কিছু উপন্যাস সরাসরি বই হয়ে বেরিয়েছে। এখন প্রতিবছরই পুজোয় গল্পের পাশাপাশি একটি-দুটি উপন্যাস লিখতে হয়।
তপন বন্দ্যোপাধ্যায় —
আটের দশক থেকে বিভিন্ন পুজো সংখ্যায় লিখছি। এইবছর পুজোয় লিখেছি দশটা উপন্যাস। পাঁচটা ছোটদের, পাঁচটা বড়দের। বড়দের উপন্যাসগুলোর মধ্যে আছে একটি রহস্য উপন্যাস।
বাকিগুলো সামাজিক। গ্রামের এবং শহরের পটভূমিকায় লেখা। পাশাপাশি লিখেছি বেশ কয়েকটি ছোট ও বড় গল্প। লিখেছি কবিতা এবং কবিতা বিষয়ক গদ্য। লিখেছি ছড়াও। বাণিজ্যিক পত্রিকার পাশাপাশি আমার লেখা থাকছে কয়েকটি লিটল ম্যাগাজিনেও।
এবার পুজোয় একটি পত্রিকায় প্রকাশিত হচ্ছে আমার দীর্ঘ সাক্ষাৎকার।