সংবাদদাতা, টাকি : করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে ইছামতী (Immersion- Ichamati)বক্ষে বিসর্জন নিয়ে উচ্ছ্বাস বাড়ছে। স্বাভাবিকভাবেই এবার বিসর্জনে আগের মতোই জনপ্লাবন হবে বলে মনে করছে দু’দেশের প্রশাসন। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও দুই দেশের স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যে ইছামতী বক্ষে ফ্লাগ মিটিং হয়। গত দু’বছর করোনার কারণে ইছামতীর জাঁকজমকপূর্ণ বিসর্জন প্রায় বন্ধ ছিল। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই বিসর্জন নিয়ে পুরনো ছন্দে ফিরতে চলেছে টাকি। আগের মতো এবছরও ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের টাকি উৎসবমুখর হতে চলেছে দেবী দুর্গার বিসর্জন (Immersion- Ichamati) নিয়ে। তবে এরই মধ্যে থাকছে দুই দেশের প্রশাসনের কড়া নজরদারি ও নির্দেশাবলি। টাকির পুরপ্রধান সোমনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, ৫ অক্টোবর ইছামতী নদীতে বিসর্জন। নদীর মাঝে দু’দেশের সীমানা বরাবর থাকবে বিভাজন। থাকবে নজরদারি। দুপুর ১টা থেকে ৬টা পর্যন্ত নৌকায় করে দু’দেশের মানুষ বিসর্জনের আনন্দে মেতে উঠবেন। তবে অতীতের মতো একত্র হবেন না নিরাপত্তাজনিত কারণে। যে সমস্ত নৌকা বিসর্জনের দিন ইছামতী নদীতে নামবে তাদের মালিকদের আগে নিতে হবে অনুমতিপত্র। প্রতিমা বিসর্জনের নৌকায় থাকবে কুড়িজন। সাধারণ মানুষদের নৌকায় থাকতে পারবে ১৫ জন। প্রতিমার নৌকা ছাড়া সাধারণ মানুষদের নিয়ে থাকবে দেড়শো নৌকা। এদেরও পুরসভা থেকে আগাম অনুমতি নিতে হবে। অনুষ্ঠান শেষে নদীবক্ষে দুই দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে হবে বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়। তারপর পুরসভার পক্ষ থেকে হবে আতশবাজির প্রদর্শনী।