অংশুমান চক্রবর্তী: গৌরকিশোর ঘোষ (Journalist Gour Kishore Ghosh) ছিলেন প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্ব। সৎ, নির্ভীক সাংবাদিক। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং সাংবাদিকের মত প্রকাশের অধিকার প্রসঙ্গে ছিলেন আপসহীন সংগ্রামী। কথাসাহিত্যেও রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। তাঁর ছিল অনুসন্ধানী চোখ, সত্যসন্ধানী মন। নানা পেশায় যুক্ত থেকেছেন। শেষমেশ সাংবাদিকতায় সাফল্য। এই কাজের মধ্যেই খুঁজে পেয়েছেন নিজেকে। জেনেছেন এবং জানিয়েছেন কোনটা ভুল, কোনটা ঠিক।
ছোটবেলা থেকেই একরোখা। যেটা ঠিক মনে হয়েছে, করেছেন। প্রয়োজনে নিজেকে শুধরে নিয়েছেন। প্রাণ সংশয় হয়েছে একাধিকবার। হয়েছেন কারারুদ্ধ। জীবনে কোনও কিছুর সঙ্গে আপস করেননি। বিভিন্ন সময় গর্জে উঠেছে তাঁর কলম। প্রয়োজনে শাসকের বিরুদ্ধেও।
জন্ম ১৯২৩-এর ২০ জুন, পূর্ব বাংলায়, অধুনা বাংলাদেশের শিলাইদহের হাটগোপালপুরে মাতুলালয়ে। পিত্রালয় ছিল যশোর জেলার মথুরাপুর গ্রামে। পরে চলে আসেন এই বাংলায়। এইবছর তাঁর জন্মশতবর্ষ।
সেই উপলক্ষে ২০ জুন, রবীন্দ্রসদনে এক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। ‘গৌরকিশোর ঘোষ জন্মশতবর্ষ উদযাপন কমিটি’র উদ্যোগে। অনুষ্ঠানে রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, অধ্যাপক সুগত বসু, সমাজকর্মী মেধা পাটকর, ডাঃ অমিত রায়, প্রকাশক সুধাংশুশেখর দে ও শুভঙ্কর দে প্রকাশ করলেন সোহিনী ঘোষ সম্পাদিত দে’জ পাবলিশিং প্রকাশিত স্মরণগ্রন্থ ‘রূপদর্শী গৌরকিশোর’ (Journalist Gour Kishore Ghosh)। ২৯৫ পৃষ্ঠার অনবদ্য এক সংকলন।
সংকলনে আছে দুটি অংশ। প্রথমটি ‘রূপদর্শী : তাঁকে জানা’। দ্বিতীয়টি ‘গৌরকিশোর : তাঁকে চেনা’।
প্রথম অংশে আছে মূলত তাঁর কাজ নিয়ে আলোচনা। আলোচনা করেছেন তাঁর অনুজ লেখকরা এবং প্রথাসিদ্ধ আলোচক প্রাবন্ধিকরা। সাংবাদিকতার পাশাপাশি আলোচিত হয়েছে তাঁর সাহিত্যকীর্তিও।
দ্বিতীয় অংশটি সম্পূর্ণ স্মৃতি নির্ভর। স্মৃতিচারণগুলিতে ঝরে পড়েছে মানুষটির প্রতি লেখকদের গভীর শ্রদ্ধা, আবেগ ও ভালবাসা।
স্মরণগ্রন্থের কথামুখ ‘নিপাতনে সিদ্ধ’। পুরোপুরি ছকভাঙা একটি লেখা। কথামুখ সাধারণত যেরকম হয়, লেখাটি সেইরকম নয়। আছে সরল স্বীকারোক্তি। লেখাটির যথেষ্ট প্রয়োজন ছিল। কথামুখটি পেরিয়ে অন্য লেখাগুলিতে গেলে গৌরকিশোরের জীবনের অনেকগুলো দিক অধরা থেকে যাবে। এমন কিছু ঘটনার উল্লেখ রয়েছে, যেগুলো মানুষটি সম্পর্কে আরও বেশি আগ্রহী করে তোলে। কী জানা যায়? তিনি ছিলেন স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত হোমিওপ্যাথ ডাক্তার গিরিজাভূষণের পুত্র। তবে দারিদ্র ছিল পরিবারের নিত্যসঙ্গী। কেন? কথামুখের আশ্রয় নেওয়া যাক : ‘‘নবদ্বীপে ডাক্তারিতে পশার যত ছিল গিরিজাভূষণের, পয়সা তত ছিল না। কী করবেন ডাক্তারবাবু, যদি পয়সা না দিতে পারে রোগীরা? করবেন না চিকিৎসা? মানুষগুলোকে কে দেখবে তবে? ফলে সুনাম হল, পসারও হল— দারিদ্র ঘুচল না।”
লেখাটি পড়ে আরও জানা যায়, আঠারো বছর বয়সে সংসারের যাবতীয় দায়িত্ব নিতে হয়েছিল গৌরকিশোরকে। কারণ পিতার দ্বিতীয় বিবাহ। গৌরকিশোরের মা ছিলেন অবস্থাপন্ন দেওয়ান বাড়ির মেয়ে। তবে কখনও বিত্তশালী পিত্রালয়ের সাহায্য নেননি। প্রবল আত্মসম্মানবোধ এবং লড়াইয়ের দুর্দমনীয় ক্ষমতা গৌরকিশোর সম্ভবত পেয়েছিলেন মায়ের কাছ থেকেই।
শীলা। গৌরকিশোরের (Journalist Gour Kishore Ghosh) সহধর্মিণী। তাঁদের বিয়ে কলকাতায় সেইসময় একটা উত্তেজনা তৈরি করেছিল। শীলা ছিলেন সফল ব্যবসায়ী ধীরেন্দ্রকৃষ্ণের কন্যা। দুটি পরিবারের আর্থিক এবং সামাজিক অবস্থানে সমুদ্র ফারাক। তাই সম্মত হননি ধীরেন্দ্রকৃষ্ণ। বাধ্য হয়ে সকলকে প্রণাম করে গৃহত্যাগ।
কীরকম ছিল বিয়ের অনুষ্ঠান? কথামুখের একটি অংশে চোখ রাখা যাক: ‘‘গৌরকিশোরের সামর্থ্য নেই। ঠিক হল টিকিট বিক্রি করা হবে। বৌভাত হবে বন্ধু অরুণকুমার সরকারের বাড়িতে। টিকিটের দাম আড়াই টাকা। বিক্রি হবে অরুণকুমার সরকার ও গৌরীশঙ্কর ভট্টাচার্যর কাছ থেকে। আমন্ত্রণ কর্তাও তাঁরাই। যাঁরা আসবেন তাঁরা টিকিট কাটবেন এবং খাবেন। রাজশেখর বসু দশ টাকা পাঠালেন টিকিটের মূল্য হিসেবে। গিরিজাভূষণ নিজের এবং পরিবারের জন্য টিকিট কাটলেন। প্রবল আপত্তি এবং প্রতিক্রিয়া এল গৌরকিশোরের মামার বাড়ি থেকে। মোটের ওপর বন্ধুদের উৎসাহে এবং সক্রিয়তায় একটা যুগান্তকারী বিবাহ সম্পন্ন হল।”
শীলা সব অর্থেই গৌরকিশোরের উপযুক্ত সহধর্মিণী। ঘরে এবং বাইরে তিনি লড়াই চালিয়ে গেছেন স্বামীর পাশে থেকে।
আছে আরও কিছু বিষয়। সবমিলিয়ে এই কথামুখ অবশ্যপাঠ্য।
আরও পড়ুন: সংবিধান-বিরোধী বুলডোজার-তন্ত্র, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই প্রতিরোধী-যন্ত্র
‘রূপদর্শী : তাঁকে জানা’ অংশ শুরু হয়েছে সেমন্তী ঘোষের লেখা দিয়ে। শিরোনাম ‘এক সাংবাদিকের সত্য-যাত্রা’। বিশ্লেষণ করেছেন গৌরকিশোরের (Journalist Gour Kishore Ghosh) বেশকিছু অতীব সাহসী লেখার। কে এই রূপদর্শী? ছদ্মনামের আড়ালে গৌরকিশোর। তাঁর বিবিধ রচনায় এসেছে রবীন্দ্রনাথ, মহাত্মা গান্ধী, ইন্দিরা গান্ধী ইত্যাদি প্রসঙ্গ। এই প্রবন্ধটি এক ‘পাবলিক ইন্টেলেকচুয়াল’ গৌরকিশোরকে উপস্থাপন করে।
সুকান্ত চৌধুরী লিখেছেন ‘রূপদর্শী-দর্শন’। তিনি কিছু কথা বলেছেন রূপদর্শীর রচনার রূপ ও দর্শন নিয়ে। জানিয়েছেন, লেখাগুলো মূলত নকশা। রীতিমতো ঘাড় ধরে নাড়িয়েছিল বাঙালি সমাজকে। আজও দামি, আজও জরুরি।
‘রূপদর্শীর মুখোমুখি’ হয়েছেন জয়ন্ত সেনগুপ্ত। ভারতীয় রাজনীতির দিশা পরিবর্তনের আভাসের পাশাপাশি ভণ্ডামি, গুন্ডামি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কীরকম সোচ্চার হয়েছে গৌরকিশোরের কলম, দেখিয়েছেন প্রাবন্ধিক।
এক আদ্যান্ত জীবনরসিকের সন্ধান দিয়েছেন অচিন রায়, তাঁর বাংলার এক বিষম সময়ের ধারাভাষ্য ‘গৌড়ানন্দ কবি ভণে’র মধ্যে দিয়ে। জীবনে জীবনে যোগ করা ছিল গৌরকিশোরের স্বভাব। তিনিই তো গৌড়ানন্দ কবি। কীভাবে দীর্ঘদিন মসির দ্বারা অসি চালিয়েছিলেন ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে, জানা যায় লেখাটি পড়ে। গৌড়ানন্দ কবি সম্পর্কে কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেছেন, ‘‘স্বভাবতই রূপদর্শীর রচনায় কৌতুকের সঙ্গে যে সহানুভূতির ও মর্মবেদনার স্পর্শ পাওয়া যেত, গৌড়ানন্দ কবির রচনায় সেটা মেলে না। তার বদলে যা পাওয়া যায় শাণিত ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ। আমাদের রাষ্ট্রনীতির কর্ণধার ও রাজনৈতিক নেতৃবর্গের বাক্য ও ব্যবহারের ব্যবধান তাঁর চোখ এড়ায় না।”
পাহাড়ের হাতছানি উপেক্ষা করতে পারতেন না। প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে বেড়িয়ে পড়তেন গৌরকিশোর। মুখোমুখি হয়েছেন রোমহর্ষক পরিস্থিতির। ফিরে এসে নিজেকে উজাড় করেছেন সাদা পাতায়। সেগুলো ছিল না সাধারণ রিপোর্টাজ। ‘অভিযাত্রী’ প্রবন্ধে লিখেছেন গৌতম চক্রবর্তী।
‘‘গৌরকিশোর ঘোষই বাংলার একমাত্র সম্পাদক যিনি ঠিক সময়ে যুগ বদলের সুলুকসন্ধান করতে পেরেছিলেন, ধরতে পেরেছিলেন তার দিকচিহ্নগুলিকে।” জানিয়েছেন সুমন চট্টোপাধ্যায়, ‘গৌরকিশোর’ রচনায়। তাঁর মতে, ‘‘গৌড়ানন্দ কবি ছিলেন পুরোদস্তুর স্বপ্নদ্রষ্টা, সাহসী, নিজের বিশ্বাসে অনড় এক অবিশ্বাস্য পুরুষ।” কারণ বিশ্লেষণ করে তিনি গৌরকিশোরকে ‘পিপলস জার্নালিস্ট’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
পথিক গুহর লেখার শিরোনাম ‘তিনি আমাকে পছন্দ করতেন না’। ‘সম্পাদক গৌরকিশোর’-কে নিয়ে লিখেছেন রজত রায়। আছে অনিতা অগ্নিহোত্রীর একটি অনবদ্য রচনা। শিরোনাম ‘গৌরকিশোর ঘোষের তিনটি উপন্যাস মানব মনের তিন রকম’। ‘এই দাহ’, ‘এক ধরনের বিপন্নতা’, ‘কমলা কেমন আছে’ উপন্যাস তিনটি নিয়ে এই লেখা। স্বপ্নময় চক্রবর্তী লিখেছেন ‘মেরুদণ্ডহীনতায় কে বাঁচিতে চায় হে’।
কৈশোরে লেখক হিসেবেই গৌরকিশোরকে চিনেছিলেন অমর মিত্র। তাঁর আক্ষেপ, ‘‘সাংবাদিক গৌরকিশোরের আড়ালে রয়ে গেছেন লেখক গৌরকিশোর।” মতটি তিনি প্রকাশ করেছেন ‘এই কলকাতা, এই ভারতবর্ষে তিনি ছিলেন’ লেখায়।
গৌরকিশোরের বিখ্যাত উপন্যাস ‘লোকটা’ ও ‘গড়িয়াহাট ব্রিজের উপর থেকে, দুজনে’। এই দুই উপন্যাস নিয়ে লিখেছেন প্রচেত গুপ্ত। শিরোনাম ‘গৌরকিশোর ঘোষের দুটি উপন্যাস বিপন্নতা ও ক্রোধের। তাঁর মতে, পৃথক উপন্যাস হলেও মূল বিষয়টি এক। দুটি উপন্যাসেই এসেছে রাজনীতি।
সুরঞ্জন দাস লিখেছেন ট্রিলজি নিয়ে। শিরোনাম ‘দেশ-মাটি-মানুষ’। জানা যায়, এই ট্রিলজিতে গৌরকিশোর বাংলার হিন্দু-মুসলমান সম্পর্কের পূর্বাপর ইতিবৃত্ত তুলে ধরতে চেয়েছেন।
গৌরকিশোরের ‘মনের বাঘ’ এবং ‘গড়িয়াহাট ব্রিজের উপর থেকে, দুজনে’ উপন্যাস দুটি নিয়ে বিশ্লেষণধর্মী গদ্য উপহার দিয়েছেন সুমিতা চক্রবর্তী। শিরোনাম ‘গভীর ব্যতিক্রমী চিন্তন’।
রুশতী সেন লিখেছেন ‘কয়েকটি গল্প : অনেক পাঠের একটি’। গৌরকিশোরের বেশকিছু গল্পের উপর আলোকপাত করা হয়েছে।
‘আখ্যান : অভিজ্ঞতা : কল্পনা’ শিরোনামে একটি অনবদ্য রচনা উপহার দিয়েছেন অভীক মজুমদার। গৌরকিশোরের ‘সাগিনা মাহাতো’ গল্পগ্রন্থকে আশ্রয় করে জন্ম নিয়েছে লেখাটি।
১৯৬৭ সালে প্রকাশিত হয়েছিল ব্রজদা আখ্যান। গৌরকিশোরের অন্যস্বাদের গল্প। আলোচনা করেছেন পবিত্র সরকার। শিরোনাম ‘ব্রজদার গুল্প’। ‘গুল্প’ কেন? গুল এবং গল্প মিলিয়ে এই অদ্ভুত নামকরণ।
আছে আরও দুটি লেখা। অভিষেক বিশ্বাসের ‘প্রান্তিক জীবন ও গৌরকিশোর’ এবং ঐশানী সেনগুপ্তর ‘এই কলকাতায়’। দুটি লেখাই গভীর, মননশীল।
এরপর দ্বিতীয় অংশ, ‘গৌরকিশোর : তাঁকে চেনা’।
শুরুতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গৌরকিশোর ঘোষ কীভাবে তাঁকে স্নেহ ও সমর্থন দিয়েছিলেন, জননেত্রীর ‘গৌরদা’ লেখায় লিপিবদ্ধ হয়েছে সেই কথা। কথামুখে ফিরে যাওয়া যাক : ‘‘২০০০ সালে ডিসেম্বর মাসে গৌরকিশোরের মৃত্যুসংবাদ যখন সন্ধের খবরে ছড়িয়ে পড়েছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখন দিল্লিতে। সব কাজ শেষ করে বিশেষ চাটার্ড বিমানে কলকাতায় এসে গভীর রাতে যখন শায়িত গৌরকিশোরের পাশে দাঁড়ালেন, তখন সেখানে বাড়ির লোক ছাড়া আর কেউ উপস্থিত নেই।” গৌরকিশোরের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
এ-ছাড়াও আছে শোভনা গুপ্ত, কৃষ্ণা গুপ্ত, সাহানা নাগচৌধুরি, ভাস্কর ঘোষ, পারজ ব্যানার্জি, শংকর, শুভাপ্রসন্ন, অমিত রায়, দাউদ হায়দার, রমা কুণ্ডু, বাণী সরস্বতী, সুরঙ্গমা ভদ্র, মীরাতুন নাহার, মনীষা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিজিৎ মিত্র, মেসবাহ উল হক, জ্যোতিশংকর ভট্টাচার্য, কৃষ্ণরূপ চক্রবর্তী, সুপর্ণ পাঠক, অভিরূপ সরকার, পূষন আইয়ুব, আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, অনির্বাণ মুখোপাধ্যায়, অনিরুদ্ধ বোস, অনিন্দ্য রানা সিনহার স্মৃতিচারণ। প্রতিটি রচনাই মনোগ্রাহী। পুনর্মুদ্রিত হয়েছে শামসুর রহমানের একটি লেখা।
গার্ডেনরিচ-মেটিয়াবুরুজ অঞ্চলের ‘বেতাজ বাদশা’ মোগলের এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন গৌরকিশোর। অপ্রকাশিত সাক্ষাৎকারটি সংকলনে মুদ্রিত হয়েছে।
আছে দুষ্প্রাপ্য কিছু সাদাকালো ছবি। ধরা পড়েছে বিভিন্ন স্মরণীয় মুহূর্ত।
২০০০ সালে না-ফেরার দেশে চলে গেছেন গৌরকিশোর ঘোষ। তবে গ্রন্থাকারে আছে তাঁর নানা স্বাদের লেখা। তাঁর ভাবনার বীজ বয়ে নিয়ে চলেছেন এই সময়ের বহু সাহিত্যিক, সাংবাদিক। এইভাবে তিনি আছেন, থেকে যাবেন। এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে। তাঁকে যথার্থভাবে চিনতে এবং জানতে হলে আত্মস্থ করতে হবে ‘রূপদর্শী গৌরকিশোর’-কে। সুসম্পাদিত সংকলনটি শুধুমাত্র একজন কিংবদন্তিকে নয়, ধরে রেখেছে একটি আলোকালো সময়কেও। প্রচ্ছদশিল্পী দেবব্রত ঘোষ।