সংবাদদাতা, পুরুলিয়া : জেলা জুড়ে নিষিদ্ধ হয়েছে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ, থার্মোকল। ফলে বিক্রি বেড়েছে শালপাতা (Shalpata Tahala-Bati), পলাশপাতার তৈরি থালাবাটি, ঠোঙার। শহরের দোকানে এখন কাঁচা পাতার তৈরি বাটি-ঠোঙার ব্যাপক চাহিদা। আর এই চাহিদা সামাল দিতে জঙ্গলমহলের প্রায়-হারিয়ে-যাওয়া ‘পতরি’ (পাতার থালাবাটি, বড় ঠোঙা) তৈরিতে এখন ব্যস্ত এলাকার মহিলারা। ঝালদা শহরে বড় ঝুড়িতে বোঝাই করে খালা (পাতার তৈরি বাটি) বিক্রি করতে আসা মণিকা বেশরা, চাঁদমণি গড়াত বললেন, খাবারের দোকানে থার্মোকলের বাটি বন্ধ হয়েছে। খাবার দেওয়া হয় খালায় করে। তাই রোজ কয়েক হাজার খালা বিক্রি হয় এখানে। জঙ্গল-লাগোয়া খামার, পুস্তি, ইলুজারগো এলাকায় বহু মহিলা খালা তৈরি করছেন। এ বছর এখনও ভালও বৃষ্টি হয়নি। চাষের কাজ চলছে ঢিমেতালে। তাই নতুন জীবিকা পেয়ে খুশি জঙ্গলমহলের মহিলারা। বান্দোয়ানের বিধায়ক রাজীবলোচন সরেন বলেন, আগেও বিক্রি হত পাতার থালা-বাটি সেলাই করে মেশিনে পাঞ্চ করে। তবে সাবেকি পাতার থালা-বাটির চাহিদা কমে গিয়েছিল। এগুলি তৈরি করা হয় ছোট ছোট সরু কাঠি দিয়ে সেলাই করে। কাঁচা পাতার তৈরি এমন সাবেকি থালা-বাটির চাহিদা এখন বেশি। বান্দোয়ান, বোরো এলাকাতেও বেড়েছে পাতার থালা-বাটি (Shalpata Tahala-Bati) তৈরি। পুরুলিয়ার তিন পুরসভা-সহ গ্রামাঞ্চলেও এখন ক্যারি ব্যাগ নিষিদ্ধ। মাছ-মাংস কিনতে গেলেও কাঁচা পাতার তৈরি ঠোঙায় দেওয়া হচ্ছে। পুরুলিয়া পুরপ্রধান নবেন্দু মাহালি জানানিয়েছেন, পুরুলিয়া এখন সম্পূর্ণরূপে প্লাস্টিকমুক্ত।
আরও পড়ুন: শিলিগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতি: ঘোষিত সভাপতি, সহ-সভাপতির নাম