বুরো রিপোর্ট : সোনাচূড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নিশিকান্ত মণ্ডলের খুনের ঘটনায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দিকে সরাসরি অভিযোগের আঙুল তুললেন ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির অন্যতম নেতা তথা নন্দীগ্রাম ১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি আবু তাহের। নিশিকান্ত একসময় নন্দীগ্রাম আন্দোলনে ভূমি-উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির নেতা ছিলেন। সঙ্গী ছিলেন আবু তাহের। ৬ নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যায়, নন্দীগ্রামের সোনাচূড়াতে, ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির অন্যতম নেতা প্রয়াত রবীন দাসের স্মরণসভায় আবু তাহের বলেন, ‘‘নিশিকান্ত মণ্ডলকে যে-ই গুলি করে মারুক না কেন, সে সন্ত্রাসবাদী। সে কাপুরুষ। নিশিকান্ত মণ্ডলকে, আমরা পরবর্তীকালে জানতে পারলাম, শুভেন্দু অধিকারী লোক লাগিয়ে মেরেছিলেন, গুলি করেছিলেন।’’ কেন এমন দাবি সে প্রসঙ্গে আবুর যুক্তি, ‘‘নিশিদার পকেটে যে মোবাইলটা ছিল, লাস্ট কল কে করেছিল, তার নম্বরটা ছিল। সেটা ধরে সেই ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়া যেত। শুভেন্দু মোবাইলটা নিয়ে নিয়েছিলেন এসে। আমি যখন বললাম, নম্বরটা চেক করুন। চেক করে লোকটিকে খুঁজে বার করা হোক। তিনি বলেছিলেন, তাহের আমাকে জ্ঞান দিচ্ছ? জলে বাস করে কুমিরের সঙ্গে লড়াই করা যায় না। আমি আর প্রশ্ন করলাম না।’’
উল্লেখ্য, ২০০৯-এর ২২ সেপ্টেম্বর সোনাচূড়া গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে বাড়ি ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল নিশিকান্ত মণ্ডলের।
আরও পড়ুন : সিদ্দিকির জলসা ঘিরে অশান্ত ভাঙড়
একইভাবে আরও বেশ কয়েকটি খুন হয়েছে বলে এদিন দাবি করেন আবু। বলেন, ‘‘নন্দীগ্রামের বয়ালে সমর মাইতিকেও লোক লাগিয়ে খুন করা হয়েছে। আনিসুর রহমানকে ফাঁসানো হয়েছে। কুরবানকেও হত্যা করা হয়েছে। একইভাবে একটার পর একটা খুন করে যাচ্ছে।’’ নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সম্পর্কে আবু তাহেরের মূল্যায়ন, ‘‘আমার এই ৫৩ বছর বয়সে এত বড় ভিলেন ভারতে আমি দেখিনি। দেখতে সুন্দর, মিষ্টি মিষ্টি কথা। কিন্তু তাঁর উপরে উঠে যাওয়ার চেষ্টা করলেই, তাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতেন।’’
এই বিস্ফোরক মন্তব্য নিয়ে শুভেন্দুর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। নন্দীগ্রামে বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহসভাপতি প্রলয় পাল বলেন, ‘‘নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারী জিতেছেন। বিরোধী দলনেতাকে কালিমালিপ্ত করার জন্য, শাসকদল লেগে পড়েছে। নন্দীগ্রামের শহিদ পরিবার শুভেন্দু অধিকারীর পাশেই রয়েছে।’’