সংবাদদাতা, বর্ধমান : শুক্রবার সকালে দুর্গাপুরে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় মৃত ১১ পুণ্যার্থীর পরিবার ও আহত ৩৫ জনের জন্য ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের (west bengal) তরফে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন। শনিবারই সেই ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেওয়া হয় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির হাতে। চেক বিলির অনুষ্ঠানে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ জানান, ৪ মৃতের পরিবারের হাতে ২ লক্ষ, ৬ গুরুতর আহতের পরিবারের হাতে ১ লক্ষ ও ১৬ আহতের পরিবারের হাতে ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়েছে। বাকি মৃতদের পরিবারকে লিগাল সার্টিফিকেট দিতে গড়িমসি করছে বিহার সরকার। পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক, পুলিশ সুপাররা বারবার যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু হতাহতদের খবর নেওয়া তো দূরের কথা, জেলা প্রশাসনের সঙ্গে চূড়ান্ত অসহযোগিতা করছে বিহার সরকার। হতাহতরা বিহারের বাসিন্দা হওয়া সত্ত্বেও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সকলের চিকিৎসা, ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা ছাড়াও দেহ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ারও ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু বিহার প্রশাসন কিছুই করেনি বলে উষ্মা প্রকাশ করেন মন্ত্রী। এদিকে এই ঘটনায় চিকিৎসা পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ই। কিন্তু তাঁর দাবি উড়িয়ে দেন হতাহতদের পরিবারের সদস্য ও পরিজনেরাই। উল্টে তাঁরা জানান, এখানে সবরকমের সাহায্য তো পাচ্ছিই, এমনকী খুব ভাল চিকিৎসাও হচ্ছে। বর্ধমান মেডিক্যালের সুপার তাপস ঘোষ বলেন, চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে কোথাও ন্যূনতম ঘাটতি রাখা হয়নি। হাসপাতাল তার সর্বোচ্চ পরিকাঠামো দিয়েই আহতদের চিকিৎসা করছে। দুর্ঘটনার পর ১০ জনই হাসপাতালে আসার আগেই মারা যান। মাত্র একজনই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গিয়েছেন।
আরও পড়ুন- নতুন খরিফ মরশুমে ধান সংগ্রহে প্রস্তুতি রাজ্যের, ১ নভেম্বর থেকে শুরু ক্যাম্প