কয়লা সঙ্কটের দায় কেন্দ্রেরই, মত বিশেষজ্ঞদের

এই অবস্থায় পাবলিক সেক্টর অ্যান্ড সার্ভিস কমিশনের পক্ষ থেকে দেশে কয়লা ও বিদ্যুৎ সঙ্কট নিয়ে স্বাধীন তদন্ত দাবি করা হয়েছে।

Must read

নবনীতা মণ্ডল, নয়াদিল্লি : দেশের কয়লাখনিগুলিতে সমস্যার জন্য সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের পরিকল্পনার অভাবকেই দায়ী করেছে পিপলস কমিশন অন পাবলিক সেক্টর অ্যান্ড পাবলিক সার্ভিসেস (পিসিপিএসপিএস)। কয়লা সঙ্কটের ফলেই দেশজুড়ে বিদ্যুতের ব্যাপক ঘাটতি। সঙ্কটের বাস্তবতা বুঝতে শুরু হয়েছে আলোচনা। বিরোধীদের অভিযোগ, সরকার উপযুক্ত সময়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করলে আজকের এই পরিস্থিতি আসত না। এই অবস্থায় পাবলিক সেক্টর অ্যান্ড সার্ভিস কমিশনের পক্ষ থেকে দেশে কয়লা ও বিদ্যুৎ সঙ্কট নিয়ে স্বাধীন তদন্ত দাবি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন-বেঙ্গালুরুতে ধৃত

প্রসঙ্গত, পিপলস কমিশন অন পাবলিক সেক্টর অ্যান্ড পাবলিক সার্ভিসেস (পিসিপিএসপিএস) হল একটি স্বশাসিত সংস্থা। এই সংস্থায় রয়েছেন বহু বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, আইনবিদ, প্রাক্তন আমলা, শ্রমিক সংগঠক এবং সমাজকর্মী। এই সংস্থাটি নীতি প্রণয়ন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি এবং জনগণের সঙ্গে কথা বলে রিপোর্ট তৈরি করে। দেশে কয়লা সঙ্কট আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জারি থাকার আশঙ্কা। কমিশন মনে করে, এই পরিস্থিতির জন্য সরাসরি দায়ী কেন্দ্রীয় সরকার। এর অন্যতম সদস্য তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সচিব ই এ এস সরমা বলেছেন, কয়লা এবং বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সরকারের বিশাল ব্যর্থতার কারণগুলি আগেই প্রকাশ করা উচিত ছিল এবং প্রতিকারে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন ছিল।

আরও পড়ুন-বিমানের মতো নিয়ম এবার রেলেও, বেশি লাগেজ নিলেই গুনতে হবে জরিমানা

কমিশনের মতে, কোল ইন্ডিয়ার অব্যবস্থাপনার বিষয়টি সাধারণ মানুষেরও জানা দরকার। নির্বিচারে কয়লা তোলার জন্য কোল ইন্ডিয়ার খনিগুলি কম দক্ষ এবং প্রাইভেট প্রোমোটারদের কাছে নিলাম করে সামগ্রিক জনস্বার্থকে আঘাত করছে কেন্দ্র। কোল ইন্ডিয়াকে সার শিল্পে বিনিয়োগ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যার ফলে কয়লার চাহিদা মেটানোর প্রাথমিক কাজকে উপেক্ষা করা হয়েছে৷ বহু বছর ধরে কোল ইন্ডিয়ার বিভিন্ন পদ শূন্য রয়ে গিয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিয়োগ ডেপুটেশনের মাধ্যমে। ফলস্বরূপ কোল ইন্ডিয়ার উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে।

আরও পড়ুন-গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে কর্মশালা

২০১৮-১৯, ২০১৯-২০ এবং ২০২০-২১ অর্থবর্ষে কোল ইন্ডিয়ার উৎপাদন ৬০০ মিলিয়ন টনেই আটকে ছিল। যদি সঠিক অর্থ বরাদ্দ হত এবং কর্মী সংকোচন না হত তাহলে উৎপাদন ১১ শতাংশ বৃদ্ধি পেত। কমিশনের অনুমান, কেন্দ্রের গাফিলতির ফলে বাধ্য হয়ে কয়লা আমদানিতে পাঞ্জাবের প্রায় ৮০০ কোটি টাকা এবং হরিয়ানার ১,২০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ হবে। অনুমান, এর জন্য রাজ্যগুলির উপর মোট অতিরিক্ত খরচের বোঝা ২৪,০০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের উচিত অবিলম্বে রাজ্যগুলিকে নির্দিষ্ট শর্তে ক্ষতিপূরণ দেওয়া।

Latest article