মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে দুর্ঘটনা রুখতে কড়া রাজ্য, পরশু বৈঠক

দু’টি রেষারেষিতে চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাহাড় সফর থেকেই তিনি নির্দেশ পাঠিয়েছেন।

Must read

প্রতিবেদন : সল্টলেকে দু’টি রেষারেষিতে চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাহাড় সফর থেকেই তিনি নির্দেশ পাঠিয়েছেন। কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পরিবহণ দফতরকে। তারপরই পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বৈঠক ডাকলেন। তিনি জানান, ১৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সবপক্ষকে নিয়ে বৈঠক হবে পুর-নগরোন্নয়ন দফতরে। বৈঠক থাকবেন নগরোন্নয়নমন্ত্রী, রাজ্য পুলিশের ডিজি, কলকাতা নগরপাল। এছাড়াও থাকবেন, সরকারি ও বেসরকারি বাস সংগঠনের আধিকারিক এবং অটো ও ট্রাক ইউনিয়নকেও থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন-নজর পাহাড়ের কর্মসংস্থান-উন্নয়ন, জিটিএ বৈঠক শেষে সরকারি পোর্টাল চালুর ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

স্নেহাশিস চক্রবর্তী আরও বলেন, রাজ্যের সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ কর্মসূচি চলছে। তা আরও দৃঢ় করতে হবে। বেপরোয়া চালকদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হবে। কলকাতা গোটা ভারতবর্ষে দুর্ঘটনাবিহীন শহরের মধ্যে এক নম্বরে রয়েছে। রাজ্য রয়েছে ১১ নম্বরে। কিন্তু এতেও আমরা সন্তুষ্ট নই। আমরা চাই সম্পূর্ণ দুর্ঘটনা বিহীন বাংলা। আসন্ন বৈঠকেই রেষারেষির বিরুদ্ধে কড়া আইন আনতে চলেছে রাজ্য। ঘাতক বাসচালকের বিরুদ্ধে খুনের মামলার রুজু করা হবে। সেফ ড্রাইভ সেভ লাইভের নিয়ম যারা মানবে না, তাদের বিরুদ্ধে কড়া আইন আনবে পরিবহণ দফতর। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, যদি দু’জন চালক ঠিক করেন রেষারেষি করবেন বা কোনও একজন চালক যদি ঠিক করে নেন ওভারটেক করবেন, সেখানে পুলিশের পক্ষে সেই বাসকে থামানো অসম্ভব। বেপরোয়া গাড়ি চালানোর বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে কর্তব্যরত পুলিশের বক্তব্য শুনতে হবে। তিনি বলেন, সল্টলেকের ঘটনায় উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছেন একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডাকার। পরিবহণমন্ত্রীর নেতৃত্বে সেই বৈঠক হবে। সেখানে রাজ্য পুলিশের প্রধান থাকবেন, পরিবহণ দফতরের আধিকারিকরাও থাকবেন বৈঠকে।

আরও পড়ুন-মুচিশা এলবি দত্ত গ্রামীণ হাসপাতালে অভিষেকের উদ্যোগে চালু OT তৈরির কাজ, স্বস্তিতে স্থানীয়রা

এ-প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক গদ্দার অধিকারীকেও একহাত নেন। বলেন, চণ্ডীপুরে ওনার কনভয়ে একজন মারা যাওয়ার পরও উনি গাড়ি না থামিয়ে চলে গিয়েছিলেন, একবার নেমেও দেখেননি। তাই বিরোধী দলনেতার এসব কথা বলা শোভা পায় না। কলকাতা শহর নিরাপদ শহর হিসেবে তকমা পেয়েছে। মৃত্যু কারও কাম্য নয়, এটা একেবারেই বিক্ষিপ্ত ঘটনা। এদিন গদ্দারকে কটাক্ষ করে কুণাল বলেন, গদ্দার বলেছেন, দেড় মাস সময় দিন মুখ্যমন্ত্রীকে প্রাক্তন করব। স্বপ্নের অভিধান বলে একটা ডিকশনারি কিনুন। তাঁর এই দিবাস্বপ্ন দেখা একঘেয়ে হয়ে যাচ্ছে। বাংলার মানুষকে বঞ্চনা করছে বিজেপি। বঙ্গভঙ্গের রাজনীতি করছে। বাংলার ভোটে জিততে না পেরেই তারা এই সমস্ত কাজ করছে।

Latest article