প্রতিবেদন: তৃণমূল কংগ্রেসের দাবির কাছেই অবশেষে মাথানত করতে বাধ্য হল মোদি সরকার৷ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি মেনেই এবার কমানো হবে বিমা এবং স্বাস্থ্য বিমার উপর থেকে জিএসটি। সোমবার দিল্লিতে এই মর্মে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে৷ আগে ধার্য করা ১৮ শতাংশ থেকে কত শতাংশ কমবে জিএসটি, তা স্থির করা হবে নতুন করে তৈরি বৃহত্তর মন্ত্রী গোষ্ঠীর বৈঠকে। এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে এদিনের বৈঠকে৷ বৈঠকে অনেক রাজ্যই দাবি জানিয়েছে ১৮ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হোক ধার্য জিএসটি৷ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে বৈঠকে উপস্থিত অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য দাবি জানান, সাধারণ মানুষের স্বার্থেই পুরো মকুব করা হোক জিএসটি৷ নভেম্বরে হবে পরবর্তী জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক৷ তার আগেই বৃহত্তর মন্ত্রী গোষ্ঠীর বৈঠকে তৈরি হয়ে যাবে বিমা এবং স্বাস্থ্য বিমার উপর থেকে জিএসটি প্রত্যাহারের রূপরেখা।
আরও পড়ুন-কেন্দ্রীয় বাহিনীর মারে প্রাণ গেল এক যুবকের
তাত্পর্যপূর্ণ হল, বিমা এবং স্বাস্থ্য বিমার উপর থেকে অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে ১৮ শতাংশ জিএসটি, সোমবার দিল্লিতে জিএসটি কাউন্সিল বৈঠকে এই দাবিতেই সুর চড়িয়েছেন রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য৷ তাঁর এই দাবির সঙ্গে একমত দেশের সব রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরা৷ সূত্রের দাবি, বিজেপি শাসিত গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সায়ন্ত জিএসটি কাউন্সিল বৈঠকে উঠে দাঁড়িয়ে খোলাখুলি সমর্থন জানান চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে৷ দেশের সাধারণ নাগরিকদের ৩০ শতাংশের বেশি লোকের কোনও স্বাস্থ্য বিমাই নেই, নীতি আয়োগের রিপোর্টে জানানো হয়েছে এই তথ্য৷ তারপরে কি ভাবে কেন্দ্রীয় সরকার বিমা এবং স্বাস্থ্য বিমার উপরে ১৮ শতাংশ জিএসটি লাগু করছে ? প্রশ্ন তোলেন রাজ্যের অর্থ মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য৷ তাঁর সুরে সুর মিলিয়েই কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন অন্যান্য রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরা৷ এর পরেই সিদ্ধান্ত হয় বিমা এবং স্বাস্থ্য বিমার উপর থেকে জিএসটি কমানোর৷ বৈঠকের পরে জাগো বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাতকারে রাজ্যের অর্থ প্রতি মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, বৈঠকে জয় হয়েছে আমাদের নীতির৷ সাধারণ মানুষের উপর থেকে জিএসটির বোঝা কমাতে হবে, আমাদের দলনেত্রী, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানিয়েছিলেন এই দাবি৷ সেই দাবিই আমি তুলে ধরেছি এই বৈঠকে৷ আমাকে সমর্থন করেছে বিজেপি শাসিত রাজ্যও৷
আরও পড়ুন-দুরন্ত জয় ডায়মন্ড হারবারের
পরিস্থিতির চাপে নতিস্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে মোদি সরকার৷ এখন কত শতাংশ কমানো হবে জিএসটি, তা স্থির করবে বৃহত্তর মন্ত্রী গোষ্ঠী৷ অনেক রাজ্যের দাবি হল, সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে বিমা, স্বাস্থ্য বিমার উপরে ধার্য্য জিএসটিকে৷ ১৮ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হোক বিমা, স্বাস্থ্য বিমার জিএসটি, দাবি তুলেছে এই রাজ্য গুলি৷ আমরা দাবি জানিয়েছি, সাধারণ মানুষের স্বার্থেই জিএসটি পুরো মকুব করতে হবে৷’